ইভিএম নিউজ,২১ ফেব্রুয়ারিঃ এপার বাংলা, ওপার বাংলা – দুই বাংলা জুড়েই সুন্দরবন। আর এই অপরূপ বনভূমিতে বসবাসকারী রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দুই বাংলারই বিশেষ আকর্ষণ। বাঘের এই বিশেষ প্রজাতিকে রক্ষার দায়িত্ব তাই দুই বাংলার ওপরেই বর্তায়। সম্প্রতি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু চোরাশিকারিদের দাপট অব্যাহত। সঙ্গে আছে বাঘের চামড়া চোরাচালানের সমস্যাও। সম্প্রতি বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব আটক করেছে দুই চোরাশিকারিকে।
র্যাব-এর তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের সুন্দরবনে চোরাশিকারিরা ভীষণভাবে সক্রিয়। বাঘ শিকার করার জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনাও করছে তারা। তবে এইবারের পদ্ধতিটা ভয়ঙ্কর। ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে বাঘ শিকার। কিভাবে চলছে এই শিকার?
র্যাব জানায়, যেখানে যেখানে বাঘের উপস্থিতি বেশি সেখানে চোরাশিকারিরা ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে রাখছে। ওই বিষ মেশানো মাংস খেয়েই মৃত্যু হচ্ছে বাঘের। তারপরেই ওই মৃত বাঘের চামড়া এবং অঙ্গ-প্রতঙ্গ নিয়ে চলছে চড়া দামে দেদার বিক্রি। ধৃত ওই দুই চোরাশিকারির নাম মহম্মদ হাফিজুর শেখ এবং মহম্মদ ইসমাইল শেখ। এই দুজনই বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ধলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। কিভাবে র্যাবের জালে ধরা পড়লো এই দুই পাচারকারী?
র্যাবের গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, বাঘ শিকারের চক্রের হদিশ আগেই পেয়েছিলেন তারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের ধরার জন্য ফাঁদ পাতে র্যাব। ক্রেতা সেজে তাদের থেকে বাঘের চামড়া এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেনেন র্যাবের গোয়েন্দারা। আর তারপরেই ওই দুই পাচারকারীকে হাতেনাতে আটক করে র্যাব। ধৃত পাচারকারীরা বাঘটি শিকার করেছিল আগের মাসের ২৭ জানুয়ারি। তারা সুন্দরবনের শ্যামনগর উপজেলা থেকেই বাঘটি শিকার করেছিল। এই দুই পাচারকারির সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাঘ হাবিব নামে এক চোরা শিকারিও ধরা পড়েছে। এই ধৃতের বিরুদ্ধে ২০ বছরে ৭০ টি বাঘ হত্যার অভিযোগ আছে।