প্রায় একতরফা খেলায় লঙ্কা বধ টিম ইন্ডিয়ার। শ্রীলঙ্কা শেষপর্যন্ত যুঝে হারের ব্যবধান কমায় শ্রীলঙ্কা। গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে ভারত প্রথম ম্যাচে ৬৭ রানে জয় তুলে নেয়। টস জিতে লঙ্কা দলনেতা দাসুন সানাকা ভারতীয় দলকে ব্যাট করতে পাঠান। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের বছরের প্রথম ম্যাচ থেকে ভারত যে রোডম্যাপ তৈরির কাজে নেমে পড়ল তা বলাই যায়। বিরাট কোহলির ৮৭ বলে ১১৩ ছাড়াও টপ অর্ডারের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ভারতীয় দলের স্কোরকে ৭ উইকেটে ৩৭৩ রানে পৌঁছে দেয়। বিশ্বকাপের বছরে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৬৭ বলে ৮৩ রান করে স্বমহিমায় ফিরলেন। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করে শুভমান গিল ৬0 বলে ৭0 রান করে অধিনায়কের মুখ বাঁচালেন। কারন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওপেন করে একদিনের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিকারী ঈশাণ কিষাণকে এ ম্যাচের বাইরে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে রোহিতের অনুপস্হিতিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের অধিনায়ক কে এল রাহুলকে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হলো। ঈশানের বদলে রাহুলকে উইকেটকিপার হিসেবে দলভুক্ত করা হয়। ২৯ বলে ৩৯ রান করলেও তেমন দাগ কাটতে পারলেন না। শ্রীলঙ্কার পক্ষে রাজিথা ৮৮ রানে সর্বাধিক ৩টি উইকেট পান।
জেতার লক্ষে ৩৭৪ রান তাড়া করতে নেমে দ্বীপরাষ্ট্রের অধিনায়ক দাসুন সানাকা ৮৮ বলে অপরাজিত ১০৮ রান করে প্রায় একা কুম্ভ রক্ষা করলেন। এছাড়া নিশাঙ্কা ৮৬ বলে ৭২ ও ধনঞ্জয় ৪৭ বলে ৪০ রান করেন। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে জম্মু কাশ্মীরের তরুণ ফাস্ট বোলার উমরান মালিক ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি বেগে দাসুন সানাকার স্টাম্প ছিটকে দিয়েছিলেন। এ ম্যাচে উমরান ৫৭ রানে সর্বাধিক ৩টি শিকার তুলে নেন। এছাড়া মহম্মদ সিরাজ ৩০ রানে ২টি উইকেট পান। কোহলি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেটে নবম এবং কেরিয়ারের ৪৫ নম্বর শতরান করে ফেললেন। তিন ম্যাচের সিরিজে ভারত এই জয়ের সুবাদে ১-0 ম্যাচে এগিয়ে গেলো।