সঙ্কল্প দে, গ্যাংটক ১৩ মার্চঃ সারা বছর মেঘের চাদরে ঢাকা থাকে সিকিম। তবে বসন্তের আগমনে নতুন রূপে দেখতে পাওয়া যায় সিকিমকে। মার্চ মাসের শেষ থেকে মে মাস পর্যন্ত সিকিমে যাওয়ার সবথেকে ভালো সময়। তার কারণ এই সময় সিকিমের ভার্সে রডোডেনড্রন অভয়ারণ্য পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। আর এই সময়কালে সিকিমে গেলে দেখতেই হবে রডোডেনড্রন অভয়ারণ্য।
প্রায় দশ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই অভয়ারণ্য। কাঞ্চনজঙ্ঘা বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এবং সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের মধ্যবর্তী একটি জায়গায় সংরক্ষিত অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত এই অভয়ারণ্য। পশ্চিম সিকিমের ১০৪ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এর অবস্থান।
বিশ্বের মোট ৩৮ রকমের প্রজাতির মধ্যে ১৯ রকমের রডোডেনড্রন সিকিমে ভার্সে রডোডেনড্রন অভয়ারণ্যে পাওয়া যায়। রডোডেনড্রন পাওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর মধ্যে সিকিম রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, এছাড়া এশিয়ার মধ্যে রয়েছে প্রথম স্থানে।
বসন্তের দিনে অপরূপ লাল পাহাড়ি ফুলে ঢেকে যায় গোটা অভয়ারণ্য। আর এই লাল পাহাড়ি ফুলের মাঝে সাদা বরফের চাদরে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। তবে বিশেষ দ্রষ্টব্য হল এই লাল রডোডেনড্রনের মাঝে স্লিপিং বুদ্ধা দেখার এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা। যা আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
এই অভয়ারণ্যে পৌঁছতে হলে ট্রেক করে যেতে হবে। কিভাবে যাবেন? প্রথমে শিলিগুড়ি থেকে জোরথাং যেতে হবে সময় লাগবে প্রায় তিন ঘন্টা। সেখান থেকে ট্রেক করে সোমবারিয়া হয়ে হিলেতে যেতে হবে। এই হিলেতে এক রাত থাকতে হবে। তারপর হিলে থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ ট্রেক করে ভার্সা অভয়ারণ্যতে পৌঁছে যেতে হবে। আর সেখানেই দেখা মিলবে রংবেরঙের রডোডেনড্রনের ফুলের। সংশ্লিষ্ট জায়গায় থাকবার জন্য রয়েছে দুটি হোমস্টে। সব মিলিয়ে এক দুর্দান্ত অনুভূতির অভিজ্ঞতা।