সংকল্প দে, ১৫ এপ্রিলঃ (Latest News) বন্যা-ত্রানের ৫৮ কোটি টাকা লুঠ করেছে তৃণমুলের পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে আসছে ক্যাগ। আগামী ১৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় অডিট টীম (CAG) তদন্তে আসার আগেই বন্যা-ত্রান দুর্নীতিতে যুক্ত তৃনমূল নেতা ও সরকারি আধিকারিকদের গ্ৰেফতারের দাবিতে এবার পথে নামলো কংগ্রেস।   শুক্রবার পাঁচশোরও অধিক কংগ্রেস কর্মী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের কোরিয়ালি বাজারের সামনে বিক্ষোভ দেখান।

২০১৭ সালে বন্যার সময় মালদহের ১২ টি ব্লকের মোট ১০২টি অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকাই ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মিলিত ভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম, কংগ্রেসের জেলা পরিষদের সদস্য আনেসুর রহমান, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের কংগ্রেসের সভাপতি আবুল কাসেম ও বাম নেতা সেখ খলিল। সেই মামলাতেই CAG -কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ CAG -কে নির্দেশ দেয়, ‘বন্যার ত্রাণের জন্য পাঠানো টাকা কারা, কিভাবে লুঠ করল তা তদন্ত করে দেখতে হবে। ৮ সপ্তাহের মধ্যেএই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।

গ্রামবাসীদের অনেকে বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাক্তিকে এই লুঠ করা টাকার কিছু অংশ বিলি করেন তৃণমুলের পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। সরকারি ভাবে নির্দেশ ছিল, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের ৭০ হাজার টাকা ও আংশিক ক্ষতি-গ্রস্তদের ১৭ হাজার এবং পরিস্থিতি বুঝে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের যথাক্রমে ১২ হাজার, ১০ হাজার ও ৩৩০০ টাকা করে দিতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, সেই টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা নিজেদের আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছেন।

১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। (EVM News)

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর