না

ব্যুরো নিউজ, ০১ জানুয়ারি: বদলানো হচ্ছে না রাজ্য সঙ্গীত 

একসময় তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছিলো রাজ্য জুড়ে। কারণ এই বঙ্গে আলাদা করে একটি রাজ্য সঙ্গীত তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রবীন্দ্র গানটি ছিল ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’। ওই গানে ‘বাঙালি’র শব্দটিকে বদলে ব্যবহার করা হয়েছিলো ‘বাংলার’ বলে। ওই বদলে যাওয়া রবীন্দ্র গানে বারবার গলা মিলিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্য জুড়ে। এই গানটি কিভাবে বাংলার জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে? নির্দেশ জারি করা হয়েছিলো এই গানের সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাড়াতে হবে দর্শকদের।

রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব নিয়োগ

কিন্তু প্রশ্ন ওঠে দেশের জাতীয় সঙ্গীত ছাড়া আর কোন গানে দর্শকের উঠে দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক কি না? এবার সেই চাপের মুখে নতুন নির্দেশ প্রকাশিত হয়, যেখানে রোমান লিপিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানটি অবিকল রাখা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নির্দেশ দিয়েছিলেন, সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে গাওয়া হবে রাজ্য সঙ্গীত। আর তাঁর পরেই শেষে গাওয়া হবে জাতীয় সঙ্গীত। প্রশ্ন হলো বাংলার জাতীয় সঙ্গীত কীভাবে হতে পারে? বুদ্ধিজীবীরা ব্যাপারটা হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন।

সরকারি অনুষ্ঠানে বাংলার জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কেন উঠে দাড়াতে হবে? সেই প্রশ্নেরও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে নয়া নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে তাঁরা আসা করছেন এইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না। রবীন্দ্র গানের বিকৃতি আর হবেনা বলেই তাঁদের প্রত্যাশা। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর