অরুপ পাল, ২৫ ফেব্রুয়রিঃ বড় ম্যাচের উত্তাপ কি হারিয়ে যাচ্ছে ময়দান থেকে? শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র ১৪ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। যেখানে যুব ভারতীতে প্রায় ৭০ হাজার দর্শক আসন রয়েছে। এটিকে এমবি কর্তারা ম্যাচ বয়কট করেছেন। কারণ, পর্যাপ্ত টিকিট তাদেরকে দেওয়া হয়নি। এই ডার্বি ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ। অথচ অখুশি লাল হলুদ কর্তারাও। কারণ একই, ওই টিকিট সমস্যা। প্রয়োজনীয় পরিমাণ টিকিট তাঁরাও পাননি। ক্ষুব্ধ আইএফএও। আইএফএের অধীনে প্রায় সাড়ে তিনশো ক্লাব ও সংস্থা রেজিস্টার্ড রয়েছে। অথচ ইমামি কর্তৃপক্ষ মাত্র তিনশো টিকিট পাঠিয়েছেন আইএফএকে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যে আরও কিছু টিকিট ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাবুতে পৌঁছেছে বলে সুত্রের খবর।
এতো গেল টিকিট সমস্যা। কিন্তু অন্য আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, বড় ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছেন দুই দলের সমর্থকরা। আইএসএলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ইস্টবেঙ্গলের পারফর্মেন্স সমর্থকদের হতাশ করেছে। যদিও তার আগে আইলিগেও আঠেরো বছরের ধারাবাহিক ব্যর্থতা ছিল। কিন্তু তবু মোহনবাগানের সঙ্গে লড়াইটা ছিল সমান তালে। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল এটিকেএমবির কাছে ধারাবাহিকভাবে হেরেই চলেছে। ফলে সমর্থকরা হতাশ, ক্ষুব্ধ। ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে কর্মকর্তাদের ওপর। অনেক সমর্থকই মুখ ফিরিয়েছেন বড় ম্যাচ থেকে।
অন্যদিকে এটিকেএমবিকে মোহনবাগান বলে মানতে নারাজ মোহনবাগানের সিংহভাগ সমর্থক। তারা মাঠে যান না। তবে, দুই দলেরই সমর্থক লক্ষ লক্ষ। তাই গ্যালারি ভরে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেই আশাতেই রয়েছে এফএসডিএল।
সমস্যা দুই দলেরই আছে। ক্লেইটন সিল্ভা এবং জ্যাক জারভিস ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের বাকি খেলোয়াড়রা ছন্দে নেই। ডিফেন্স দুর্বল, মাঝ মাঠও জমাট নয়। ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কন্সট্যানটাইনের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাটাছেঁড়া অব্যাহত। অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞর মতে, তার নাকি প্ল্যান বি বলে কিছু নেই। আইএসএল লিগ টেবিলে ১০ নম্বরে দল। ১৯ম্যাচে মাত্র ২২ গোল দিতে পেরেছে। তার মধ্যে ক্লেইটন সিল্ভার একারই ১২ গোল। এই ম্যাচ জিততে সেই ক্লেইটনের দিকেই তাকিয়ে কোচ, কর্মকর্তা এবং সমর্থকরা।
অন্যদিকে এটিকেএমবি লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে। এই ম্যাচ জিতলে বেঙ্গালুরুকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে। কার্ড সমস্যায় খেলতে পারবেন না ব্রেন্ডন হ্যামিল। চোট রয়েছে তাই অনিশ্চিত কার্ল ম্যাকহিউ এবং হুগো বুমোস। ইস্টবেঙ্গলের গোল মেশিন ব্রাজিলিয়ান ক্লেইটন সিল্ভাকে রুখতে এটিকেএমবি কোচ ফেরান্দোর ভরসা প্রীতম কোটাল-শুভাশিস বসু- স্লাভকো ত্রয়ী। ক্লেটান-জারভিস জুটিকে আটকাতে পারলেই হাসি ফুটবে সবুজ মেরুন সমর্থকদের মুখে। আর লাল হলুদ সমর্থকরা মনেপ্রাণে চাইছেন ক্লেইটন জেনো তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে।