ব্যুরো নিউজ, ২৭ ডিসেম্বর: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেলো মেট্রো 

সকাল তখন ঘড়িতে প্রায় সাতটা বেজে তিরিশ মিনিট। বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন থেকে দমদমের দিকে যাওয়ার ট্রেন সবে বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনে ঢুকছিল। ডাউন লাইনের বাঁকে আলোর দেখা পেতেই স্টেশনের শেষ প্রান্তে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন এক বৃদ্ধ। তাঁর বয়স ৭৩। চোখে মুখে তাঁর ক্লান্তির চাপ স্পষ্ট। পরনের পোশাক-আশাক সাধারণ মানের। ট্রেন প্ল্যাটফর্মের কাছাকাছি আসতেই তাঁর শরীরটা ঝাঁপিয়ে পড়তে গেল মেট্রোর লাইনে। ঠিক সেই মুহূর্তে একটা হাত এক ঝটকায় টেনে নিলো তাঁকে। কিন্তু তখনও তিনি হতচকিত। কয়েক মুহূর্তের অন্ধকার হঠাৎ কেটে গিয়ে তাঁর চোখে-মুখে তখন প্ল্যাটফর্মের ঝকঝকে আলো। তাঁর হাতটি ধরে ছিল মেট্রো স্টেশনেই কর্তব্যরত এক আরপিএফ কর্মী। তিনি কিছু বলছিলেন। কিন্তু বৃদ্ধ তখনও শুনতে পাচ্ছিলেন না। যেন তিনি ভাবতেই পারছিলেন না যে তিনি এখনও বেঁচে আছেন।

পর পর দুবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো লেহ ও লাদাখ

বুধবার সকালে এইভাবেই মেট্রোর নীচে আরও একটি নিষ্পাপ প্রানের বলিকে আটকালেন কর্তব্যরত ও সতর্ক ওই আরপিএফ কর্মী। তিনি ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে স্টেশন ম্যানেজারের অফিসে নিয়ে গিয়ে বসান। তত ক্ষণে তাঁকে ঘিরে ভিড় করেছেন মেট্রোর কর্মীরা। প্রথমে ওই বৃদ্ধ কিছু না বললেও পরে মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের মুখে স্বীকার করে নেন যে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তিনি। পারিবারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার। ভাবতে পারেননি কেউ তাঁকে বাঁচাতে আসবে! বৃদ্ধের কথা শোনার পরই মেট্রোর তরফে যোগাযোগ করা হয় তাঁর পরিবারের সঙ্গে।

পরে পৌনে ৮টা নাগাদ বিষয়টি জানানো হয় উল্টোডাঙ্গা থানায়। ৮ টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমাক রেড্ডি এই প্রাণ বাঁচানোর ঘটনায় ওই আরপিএফ কর্মীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। মোক্ষম মুহূর্তে তাঁর তৎপরতার কারণেই যে মেট্রো পরিষেবা বড় সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেল তা-ও জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর