সন্দীপ মুখার্জি, কে.পি অ্যাস্ট্রোলজার, ১০ জুনঃ (Latest News)
তৃতীয় পর্বে আজ আপনাদের জানাবো বজরংবলী নাম করণ কেন হল, এবং বজরংবলীর সঙ্গে সিঁদূরের মহাত্ম কি?
চতুর্থ পর্বে রয়েছে সংস্কৃতে হনুমানের অর্থ কি? এবং মারুতি নাম থেকে কিভাবে হনুমান নাম প্রসিদ্ধ হল।
পঞ্চম পর্বে বলা হয়েছে বজরংবলী ব্রহ্মচারী হওয়ার পরও কিভাবে এক পুত্র সন্তানের পিতা।
তৃতীয় পর্বঃ- বজরংবলী নাম হওয়ার কারণ– সীতাকে সিঁদূর লাগাতে দেখে অঞ্জনীপুত্রের মনে প্রশ্ন জাগে যে সীতা প্রতিদিন এটি কেন লাগান। জানকীর কাছ থেকে হনুমান উত্তর পান যে সিঁদূর লাগালে রামের আয়ু বাড়বে। তখন হনুমানও নিজের সারা শরীরে সিঁদূর লাগিয়ে নেন। তাঁর ধারণা এর ফলে রামের আয়ু বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। সিঁদূরের অপর নাম বজরং। সেই দিনের পর থেকে হনুমানকে বজরংবলী নামে ডাকা শুরু হয়। ঠিক এ কারণে বজরংবলীর পুজো সিঁদূর নিবেদনের রীতি প্রচলিত।
চতুর্থ পর্বঃ- সংস্কৃতে হনুমানের অর্থ বিকৃত চোয়ালর-সংস্কৃতে হনুর অর্থ চোয়াল ও মান-এর অর্থ বিরূপিত করা। বজরংবলীর ছোটবেলার নাম ছিল মারুতি। একদা মারুতি সূর্যকে ফল ভেবে খেয়ে ফেলেন। এর ফলে সমগ্র জগতে অন্ধকার ছেয়ে যায়। এই ঘটনায় রেগে গিয়ে ইন্দ্র মারুতিকে বজ্র দিয়ে প্রহার করেন। যার ফলে তাঁর চোয়াল ভেঙে যায় ও তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই ঘটনার পর থেকেই মারুতি হনুমান নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।
পঞ্চম পর্বঃ- ব্রহ্মচারী হওয়া সত্ত্বেও একটি পুত্র সন্তান ছিল বজরংবলীর– বজরংবলী ব্রহ্মচারী ছিলেন। তবে আশ্চর্য হবেন যে, তাঁর এক পুত্র ছিল, যার নাম মকরধ্বজ। এক মাছের গর্ভ থেকে জন্ম হয়েছিল তাঁর। লঙ্কা দহনের পর বজরংবলী যখন নিজের শরীরকে শীতল করার জন্য সমুদ্রে ডুব দেন, তখন তাঁর শরীর থেকে নির্গত ঘাম এক মাছ গিলে ফেলে। পরে সেই মাছ থেকেই মকরধ্বজের জন্ম হয়।
পবর্তি পর্ব জানতে নজর রাখুন আগামী মঙ্গলবার EVM News- এ। (EVM News)