ব্যুরো নিউজ, ৩ জানুয়ারি: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাঞ্চল্যকর দাবি
মঙ্গলবার মুখবন্ধ খামে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রিপোর্ট আদালতে জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI ও ED। আর সেখানেই উঠে আসে একাধিক তথ্য। আদালতে জানানো হয়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ৮ টি সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এবার কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে নয়া নির্দেশ দিল আদালত। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, চিকিৎসকদের নিয়ে ED এমন একটি টিম গঠন করবে, যাঁরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা টেস্ট করতে পারবে। বুধবার ED-র যুগ্ম অধিকর্তাকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। জোকার ইএসআই হাসপাতালের এক চিকিৎসককে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে কোর্ট হাজিরা চেয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার OMR শিট দেখার পর নম্বর দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। এর আগেও CBI-এর তরফে দাবি করা হয়েছিল, অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নেপথ্যে হাত রয়েছে সংশ্লিষ্ট এই সংস্থার। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কোনও অনুমোদন নেই। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে অনলাইন পোর্টাল করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকী, সংস্থায় কোনও কর্মীও নেই। ২০১৪ সালের TET পরীক্ষার সমস্ত নথি নষ্ট করা হয়েছে। সংস্থার দুই কর্মী কৌশিক মাজি ও পার্থ সেনকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, আদালতে পেশ করা ওই রিপোর্টে CBI জানায়, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি শুধুমাত্র একটি স্টাম্প। এর আড়ালে বেআইনি নিয়োগ করা হত।’ এবার নতুন করে এই সংস্থার বিরুদ্ধে এমনই সমস্ত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।
বারবার কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহে বাধা | কারণ জানতে চিকিৎসকদের তলব বিচারপতির
পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। CBI রিপোর্টে বলা হয়, সিঙ্গল রোল নম্বরে মাল্টি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল যাতে আসল পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত না করা যায়। অয়ন শীল হলেন OMR কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত। বর্তমানে তিনি জেলবন্দী। তাঁকে গিয়ে জেরা করেছে CBI। ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি করে নিয়োগ করেছে অয়ন শীল বলে অভিযোগ। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। ইভিএম নিউজ