ব্যুরো নিউজ, ৫ সেপ্টেম্বর: প্রাণনাশের হুমকি চিঠি | গ্রেফতার অধ্যাপক রানা রায়।
গ্রেফতার কোচবিহারের অধ্যাপক রানা রায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে প্রাণনাশের হুমকি চিঠিতে নাম জড়িয়েছিল রানা রায়ের। যদিও এবার অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে টালা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে অধ্যাপক রানা রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করার পর সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটের সময় এই রানা রায়কে কলকাতার শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে UGC টিম
গত ১৫দিন ধরে ছেলেকে কলেজে ভর্তি করানোর জন্য ভুবনেশ্বরে ছিলেন রানা রায়। আদালতে দাবি রানার আইনজীবীর। সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, উনি একই অপরাধ বারবার করেছেন। একাধিক অভিযোগ রয়েছে রানার বিরুদ্ধে। বহু চিঠি পাওয়া গিয়েছে যার খাম গুলিরও বিশেষত্ব রয়েছে সেই সব বাজেয়াপ্ত করা জরুরি বলে রানা রায়ের জামিনের বিরোধীতা করেন।
অন্যদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী জানান উনি একটি কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কাজে যোগ না দিশে চাকরি নিয়ে সমস্যা হবে। তাদের আরও বক্তব্য, পুলিশ নোটিশ দেওয়ার সময় দেয়নি। উনি পালাচ্ছিলেন না। উনি কোচবিহারেই বেশি সময় থাকেন আরও একটি ঠিকানা আছে ওনার। সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন উনি পালিয়ে যেতে পারেন তাই গ্রেফতার করা হয়েছে। সবশেষে এই রানা রায়ের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, JU-র রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি দেওয়ায় অভিযুক্ত এই অধ্যাপক, হুমকি চিঠির নীচে স্পষ্ট নিজের নাম সহ নিজের সরকারি পদও স্পষ্ট লেখা থাকতো সেই চিঠিতে। শুধু তাই নয় প্রতিবেশীদের কন্ডোমও পাঠাতেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে লোকাল থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁর বাড়ির বারান্দাতে ঝুলতে দেখা যায় মুখোশ, সেই ছবিও ধরা পরে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। তিনি নাকি এলাকায় বিভিন্ন রকমের মুখোশ পড়ে ঘুরে বেড়াতেন বলেও জানান আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী। ইভিএম নিউজ