ব্যুরো নিউজ, ২৩ জানুয়ারি: প্রথম দিনেই ভক্তদের নজিরবিহীন ভিড় | ভক্তের রক্তে রক্তাক্ত অযোধ্যা

গতকাল অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছে। আর প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরের দিন, মঙ্গলবার জনসাধারণের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রামলালার দর্শনের উদ্দেশ্যে মন্দির প্রাঙ্গনে দেখা গেল ভক্তদের নজিরবিহীন ভিড়। মন্দিরের প্রবেশপথে দেখা গেল ভক্তদের মধ্যে তুুমুল হুড়োহুড়ি।

ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

দেখা যায়, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যে ব্যারিকেড দেওয়া ছিল, একসময় সেই লোহার ব্যারিকেড ভেঙে মন্দিরে ঢুকতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। ভিড়ের চাপে পড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন ভক্তের মাথা ফাটে ও আরও কয়েকজন আহত হন পর্যন্ত। এর মধ্যে বেলা ১১.৩০টায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাম মন্দিরের দরজা। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবার দুপুর ২টোর পর, ভক্তদের দর্শনের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে। মন্দির চত্বরের মধ্যেই ভক্তদের বসার জায়গা করা হয়েছে। তারা সেখানে বসে দর্শনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

অযোধ্যা পুলিশের অ্যাজডিশনাল ডিজিপি পীযূষ মিরোদিয়া জানান, এই বিশাল ভিড় মানুষের ভক্তির বহিঃপ্রকাশ। তাঁরা চান বেশি বেশি সংখ্যক মানুষ মন্দির দর্শন করতে আসুক। দর্শন একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। দর্শনের সুযোগ সবাইকে দেওয়া হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, এটাকে প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলে মানতে নারাজ তিনি। উল্লেখ্য, প্রতিদিন সকাল ১১.৩০ থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রামলালা দর্শন। অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রতিদিন দুটি ভাগে যেমন, প্রথমে সকাল ৭টা থেকে সকাল ১১:৩০ ও তারপর দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

সাধারণের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই প্রবল শীতের মধ্যেও মন্দির চত্বরের বাইরে ভোর ৩টে থেকেই বিশাল সংখ্যায় ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। রাম লালাকে একঝলক দেখতে ও পুজো দেওয়ার ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। মন্দিরে ঢোকার জন্য দরজার বাইরে লম্বা লাইন দিয়েছিলেন ভক্তরা। ভোর ৬.৩০ নাগাদ রাম মন্দিরে ভোরের প্রথম আরতি হয়। তার পর মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের জন্য। সকাল ৮টা থেকে মন্দিরে পুজো শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় মন্দির বন্ধের পরে, আরও একবার রামলালার বিগ্রহের আরতি করা হবে। ভক্তদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে সাময়িকভাবে মন্দির দর্শন বন্ধ রাখাই নয়, পঞ্চকোসির কাছে যানচলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। মন্দির সূত্রে জানানো হয়েছিল, প্রথম দিনই প্রায় ৫ লক্ষ পুণ্যার্থী মন্দিরে পা রাখতে পারেন। তবে, বেলা যত বেড়েছে সংখ্যাটা মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জনগনের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন ও পুলিশ সাময়িকভাবে মন্দিরে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। মহাসড়কেও করে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। সেইদিক দিয়ে আসা সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর