রাজীব ঘোষ, ১৭ সেপ্টেম্বর: প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রির আকাশ ছোঁয়া বাজার | শুরু করতে পারেন আপনিও
ব্যবসা শুরুর আগে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা একটা মার্কেট সার্ভে করে নেন। যে ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার মার্কেটে চাহিদা, বাজার, ইনভেস্টমেন্ট, তার রিটার্ন, সমস্ত দিক থেকে একটি পরিষ্কার চিত্র জানার জন্যই এই সমীক্ষা করা হয়ে থাকে। যদি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে প্রথমেই মাথায় আসে কি ব্যবসা করবেন? কোন ব্যবসায় লাভ হবে? আর সাধারণ কোনও মানুষ ব্যবসা করার আগে তো আর বাজার সমীক্ষা করতে যাবেন না। ফলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বা ব্যবসায়িক পত্র-পত্রিকা থেকে জেনে নিতে হয়, কোন ব্যবসা করলে এই মুহূর্তে বাজারে চাহিদা রয়েছে এবং রিটার্ন ভালো উঠে আসতে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক কথায় বলা যেতে পারে, এই মুহূর্তে প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি একেবারে (Packaging Industry) আকাশ ছুঁতে চলেছে।
ফ্যাশন বাজার দখলে আনতে মেড ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম Myntra-র
খাদ্যদ্রব্যের প্যাকিংয়ের ব্যবসার বাজার ধীরে ধীরে বিরাট বড় হতে চলেছে। আর এই প্যাকেজিং সংক্রান্ত ব্যবসা করে যথেষ্ট টাকা রোজগার করতে পারেন। খাদ্যদ্রব্য প্যাকিংয়ের জন্য সম্প্রতি বাবল প্যাকিং পেপারের (Bubble Packing Paper) চাহিদা ক্রমবর্ধমান। তার কারণ, এই বাবল প্যাকিং পেপার সাধারণত কমলালেবু, আপেল, আঙ্গুর, লিচু ও ডিমের মতো খাদ্যদ্রব্য প্যাকেজিং ও পরিবহনে ব্যবহার করা হয়। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে বন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্যাকেজিংয়ের এই পেপার যথেষ্ট উপযোগী। যে প্রক্রিয়ায় এই বাবল প্যাকিং পেপার তৈরি করা হচ্ছে, তাতে খাদ্যদ্রব্যটি পরিবহনের সময় যথেষ্ট সুরক্ষিত থাকে। আর সেই কারণে এই মুহূর্তে প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিতে বাবল প্যাকিং পেপারের ব্যবসার ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে।
G-20-র প্রভাব শেয়ার বাজারে | কোন শেয়ারে মালামাল হবেন?
এই ব্যবসায় লাভের দিকে যদি নজর দেওয়া যায়, দেখা যাবে, ব্যবসার ক্ষমতা অনুযায়ী ১০০শতাংশ, ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ ও ৮০ শতাংশ বিক্রির ধারণা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে Net Surplus হতে পারে ১১.৪২, ৬.৫৬, ৭.৭৮ ও ৮.৯৯ লক্ষ টাকা।
এই ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করতে হতে পারে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার উপরে। Khadi and Village Industries Commission-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাবল প্যাকিং পেপারের উৎপাদন ব্যবসা শুরুর জন্য ১৫.০৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে নিজস্ব জমি ধরে নিয়েই হিসাব করা হয়েছে। ওয়ার্ক শেড বাবদ খরচ ১৬ লক্ষ টাকা। যন্ত্রাংশ বাবদ ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।
বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র লাগে যেমন হাইড্রো পাল্পার, মোল্ডিং প্রেস, ট্রিমিং মেশিন-সহ আরও বেশ কিছু। মোট মূলধনী ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। আর working capital এর জন্য ৭ লক্ষ টাকা। ফলে মোট খরচ ১৫.০৫ লক্ষ টাকা হিসাবে ধরা হয়েছে। ইভিএম নিউজ