ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ এ বলে আমাকে দেখ, তো ও বলে আমিই বা কী কম যাই! আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনীতির উত্তাপ। আর সেই উত্তাপে প্রতিদিনই কোনও না কোনও ইন্ধন দিয়ে চলেছেন, শাসক আর বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রী সাংসদ বিধায়করা। গোষ্ঠীকোন্দল আর শীর্ষনেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভের অভিমুখটাকে ঘুরিয়ে দিতে, নীচুতলার কর্মীসমর্থকদের উদ্দেশ্যে একের পর এক ঢোকাল টনিক দিয়ে চলেছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী সাংসদ আর বিধায়করা। মুখ বন্ধ রাখছেন না বিজেপি নেতৃত্বও। শাসকের চোখে চোখ রাখতে দলের নীচুতলার কর্মীদের উৎসাহ দিতে, সেই একই ভোকাল টনিকের রাস্তা নিচ্ছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধীদলের নেতা আর বিধায়করাও। মঙ্গলবার তারই নজির রেখে, রীতিমতো বেলাগাম মন্তব্য করে বসলেন, বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। এদিন নিজের বিধানসভাকেন্দ্রে আয়োজিত এক দলীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে, তৃণমূল সরকারের কর্মসূচিকে আক্রমণাত্মক ভাষায় বিঁধলেন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক। গত বেশ কিছুদিন ধরেই জেলায় জেলায় ‘দিদির দূত’ হয়ে সরকারি নানা প্রকল্পের প্রচার করতে যাচ্ছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রী সাংসদ বিধায়করা। রাজ্যের একাধিক আর্থিক প্রকল্প যে আসলে তাঁরাই দিচ্ছেন, ওই নেতাকর্মীদের বক্তব্যে ধরা পড়ছে তেমনই অভিব্যক্তি। আর এ প্রসঙ্গেই এদিন চোখা ভাষায় নীচুতলাকে উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করলেন বিধায়ক স্বপন মজুমদার। আর সেটা করতে গিয়েই একসময় তিনি বলেন, “তৃণমূলের কোনও নেতা এসে তাঁবেদারি করে বোঝাতে চায় যে যাবতীয় আর্থিক সাহায্য তাঁদের বাপের ঘর থেকে টাকা এনে দিচ্ছে, তাহলে ওই নেতাদের জুতো খুলে মারবেন”।
ঘটনা হল, যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের সর্বস্তরের নেতারা বিভিন্ন রকম উন্নয়ন প্রকল্প আসলে তাঁদের টাকাতেই হচ্ছে বলে পরোক্ষে প্রচার করতে চেষ্টা করেন, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনার তির শানিয়ে চলেছেন বিরোধী নেতারা। বিরোধীদের যুক্তি সরকারি কোষাগরে থাকা রাজ্য বাসীর করের টাকা যথেচ্ছ ভাবে খয়রাতি করে আসলে নিজেদের ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করতে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন বিধায়ক সেটাই একেবারে মেঠোভাষায় বলে দেওয়ার পর, পাল্টা সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলও।

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “বিজেপি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। বিধায়কদের ধরে রাখতে পারছে না। বুথে কাজ করার জন্য কর্মী ও খুঁজে পাচ্ছে না। পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে, নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পেতে, ওঁরা এই ধরনের মন্তব্য করছেন”। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য না করলেও রাজ্য বিজেপির অন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, জেলায় জেলায় শাসকদলের আশ্রিত গুন্ডামস্তানদের আক্রমণে যাতে দলের নীচুতলার কর্মীদের মনোবল না হারিয়ে যায়, সেজন্যই বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক ওই মন্তব্য করেছেন। তবে ওই ভাবে কথাগুলো না বললেই ভালো হত।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর