ব্যুরো নিউজ, ১১ নভেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতির মাথা গ্রেফতার নয় কেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার মাথার দিকের লোকেদের গ্রেফতারের জন্য চাপ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে দুই বিচারপতি সি টি রবিকুমার, ও সঞ্জয় কুমার প্রশ্ন তোলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। অথচ গ্রেফতার হয়েছেন মাত্র ৯ জন। এই প্রশ্ন তুলে সি বি আই কে বিচারপতিদ্বয় বলেন, বাকি ৮ জন মুক্ত কেন। সি বি আই কেন প্রভাবশালীদের গ্রেফতার করছে না। আর তাতেই সি বি আই এর উপর আরও বাড়ল আদালতের চাপ।
দলীয় কর্মীদের হাতে আক্রান্ত ব্লক তৃনমুল সভাপতি সহ জেলা পরিষদ সদস্য
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নকুমার রায়কে দুটি মামলাতেই জামিন মনজুর করেছেন দেশের শীর্ষ আদালত। সি বি আই এর আইনজীবী বলেন, প্রসন্ন রং মিস্ত্রী হিসাবে জিবন শুরু করেছিলো। মাত্র কয়েক বছরেই তার ৪৫০ টির বেশি সম্পত্তি ও কয়েকটি গাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে। শিক্ষা দফতরেও তার বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাড়ায় চলতো। প্রসন্নের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করে ২০২২ সালে। অভিযুক্তদের কাঠগড়ায় তোলার অনুমতি না মেলায় চার্জশিট গৃহীত হয়নি। দ্বিতীয় মামলাতেও একই সমস্যা। অথচ প্রসন্ন এক বছরের ও বেশি জেল বন্দী রয়েছে।
প্রসন্নর অপর দুই আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা ও শান্ত নন্দী বলেন, সি বি আই অভিযোগ করেছে প্রসন্নর কোম্পানিতে বেশ কয়েকজনের টাকা চেকে জমা পড়েছে। পরে তা হাতবদল হয়। কিন্তু সি বি আই সেই প্রমান দেখাতে পারেনি। একই সঙ্গে প্রসন্নর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলেও তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ তা জানানো হয়নি। এখানেই বিচারপতিদ্বয় প্রশ্ন তোলেন, কেন মাথা দের না ধরে নিচের লোকে দের ধরা হচ্ছে। এর সদুত্তর সি বি আই এর কৌশলী দিতে পারেননি। আর তাতেই তার বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব কাজ করেনি। এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট গ্রুপ ডি নিয়োগ ও নবম দশম শিক্ষক নিয়োগের দুটি মামলাতেই প্রসন্নর জামিন মনজুর করেন। তবে নিম্ন আদালত প্রয়োজনে ওই জামিনের উপর কড়া শর্ত আরোপ করতে পারবে বলে বিচারপতিদ্বয় জানান। ইভিএম নিউজ