ইভিএম নিউজ, ১৫ মার্চঃ মাতৃগর্ভেই হল শিশু ভ্রুনের হার্ট সার্জারি। জন্মের আগেই ওই ভ্রুনের হার্টে একটি ক্ষত দেখা যায়। ওইটুকু হার্টে ব্লকেজ তৈরি হওয়ায় ফুসফুসে রক্ত ঠিকমতো পৌঁচচ্ছিল না। তাই মাতৃগর্ভেই ভ্রূণের হার্ট সার্জারি করতে হল। দিল্লি এক বড় সাফল্য পেলেন এইমসের চিকিৎসকরা। কারণ এই অপারেশন সফল হয়েছে। এইমসের কার্ডইওথোরাসিক সায়েন্স সেন্টারে এই সার্জারি করা হয়। ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ও ফেটাল মেডিসিন স্পেশালিস্টদের একটি টিম এই অপারেশন করে।
চিকিৎসকরা বলেন, মাতৃগর্ভে ভ্রূণের হার্টে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা ‘ফেটাল ইকো কার্ডিওগ্রাফি’ করে দেখা হয়। এর ফলে আগেই বোঝা সম্ভব হয় গর্ভস্থ ভ্রূণের হার্টে কোনও সমস্যা রয়েছে নাকি। সেই রিপোর্টে ভ্রূণের হার্টের যদি কোনও বড় সমস্যা দেখা যায় তবে পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়। পরিবার সম্মতি দিলে তবেই ওই ভ্রূণ নষ্ট করে দেওয়া হয়। যদি পরিবার ভ্রূণ নষ্টের সম্মতিতে অসম্মত দেয় তখন সার্জারি করতে হয়। অপরিণত হার্টে সার্জারি করা খুবই জটিল। কারণ সামান্য ভুল হলেই গর্ভেই মৃত্যু হতে পারে ওই শিশুর।
কিভাবে করা হয় এই অপারেশন? মায়ের পেট দিয়ে সূচ ঢুকিয়ে তা নিয়ে যাওয়া হয় গর্ভস্থ ভ্রূণের হার্ট পর্যন্তও। এরপর বেলুন ক্যাথেটার দিয়ে ব্লক খুলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করা হয়।
এক্ষেত্রে ফেটাল ইকো কার্ডিওগ্রাফি করে চিকিৎসকরা দেখেন ভ্রূণের হার্টের ডান দিকের ভাল্ভ ও চেম্বারগুলো ঠিক মতো তৈরি হয়নি। অর্থাৎ ব্লকেজ রয়েছে। এই চেম্বারগুলো হল ট্রাইকাসপিড অ্যাট্রেসিয়া, হাইপোপ্লাস্টিক রাইট ভেন্ট্রিকল এবং পালমোনারি অ্যাট্রেসিয়া। এইরকম পরিস্থিতিতে বাচ্চার হার্টে রক্ত সঞ্চালন হবে না। ফলে ফুসফুসেও রক্ত যেতে পারবে না। এরজন্য শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হবে এবং মৃত্যুও হতে পারে।
মাতৃগর্ভে থাকার সময় ভ্রূণের হৃদপিণ্ডে একটি ধমনী থাকে। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে ডাক্টাস আর্টেরিওসাস। জন্মের পর এই ধমনী কাজ করে না। অপারেশন করে এই ধমনী চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে।।