ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২১ শে ফেব্রুয়ারিঃ লোকসমাজে খুবই প্রচলিত একটি শব্দ হল ‘দু মুখো সাপ’। এবার এই ‘দু মুখো সাপ’ পাচারকারিকেই হাতেনাতে ধরল বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের বেলাকোবা বন দফতরের আধিকারিকরা। গোপনসুত্র মারফৎ খবর পেয়েই শিলিগুড়ি থেকে সেই পাচারকারী দলকে আটক করে বন দফতর আধিকারিকরা। কি এই দু মুখো সাপ? উত্তরপ্রদেশের মেরঠের হস্তিনাপুর থেকে গড়মুক্তেশ্বর সংলগ্ন জায়গায় ‘দু মুখো সাপ’-এর বসবাস। এই সাপের ইংরেজি নাম হল রেড স্যান্ড বোয়া। বর্তমানে এই প্রজাতির সাপগুলি প্রায়  বিলুপ্তির পথে। আর এবার এই সাপের চোরাপাচারের মূল পান্ডা-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করলো বন দফতর।

বন দফতর সূত্রে খবর, স্যান্ড বোয়া সাপের বর্তমান দর ১ কোটি টাকা। কারণ, তথাকথিত দু মুখো সাপগুলির গায়ে হালকা হলুদ এবং লাল রঙের মিশ্রণ থাকলেই সেইগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যাধিক মুল্যে বিক্রি হয়। গায়ের রঙের ওপরেই দাম নির্ধারিত হয়। ফলে ১ কোটির বেশি দাম পায় পাচারকারীরা। গেকো বহা তক্ষক সাপের দরেই বিদেশে এইগুলি বিক্রি করা হয়। মূলত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানা থেকেই এই সাপ বেআইনিভাবে চোরাচালান করা হয়। কিন্তু এইবার, হাতেনাতে ধরা পড়ে পাচারকারীদের দল। বিহারেই পাচার করার ছক কষেছিল এই দল।

গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ক্রেতা সেজে অভিযান চালায় বন দফতর আধিকারিকদের দল। আর তাতেই মেলে সাফল্য। গ্রেফতার হওয়া তিনজনের বাড়ি শিলিগুড়ি শালুগারা শাস্ত্রীনগর এলাকায়। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটায়। ১ কোটি টাকার মুল্যে বিহারে এই ‘দু মুখো সাপ’ পাচারের ছক কষেছিল ধৃত পাচারকারীরা।

যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে ‘দু মুখো সাপ’ বলে কোনও সাপ হয় না। স্যান্ড বোয়া প্রজাতির সাপের লেজের দিকটি অত্যধিক মোটা হওয়ার জন্য তা মাথার মতো দেখায়। তাই স্থানীয়রা একে ‘দু মুখো সাপ’ বলেই চেনে। তবে এই সাপে বিষ নেই। সধারণত সাপগুলি শান্ত প্রকৃতির হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই সাপের এতো দাম হওয়ার কারণ হল স্যান্ড বোয়া দিয়েই যৌনশক্তি বর্ধক ওষুধ বানানো হয়। পাশাপাশি এই সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয় পার্স, বেল্ট, জুতো এমনকি জ্যাকেটও।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর