ব্যুরো নিউজ, ২ জানুয়ারি: দক্ষিণ দিনাজপুরে পিঠার দাপট!
খাদ্যরসিক বাঙ্গালির কাছে শীতকাল মানেই নতুন গুড়ের পীঠা- পায়েস। আর পীঠা শুনলেই মনে আসে ভাপা পীঠা, সাজের পীঠা, পাটিসাপটা, মালপোয়া, দুধপুলি আরও কতো কি… আর এই পীঠা উৎসবে মেতেছে গোটা বাংলা। তবে তারই মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা।
বাংলায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস | উপকৃত কোন কোন জেলার মানুষ?
বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। এই জেলার বিভিন্ন খাবারের সুনাম রয়েছে, জনপ্রিয় খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ক্ষীরের দই, নলেন গুড় আর নলেন গুড়ের তৈরি মিষ্টি থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। তবে কুয়াশা আচ্ছাদিত সকালে কিংবা হিমেল সন্ধ্যায় বাতাসে ভেসে আসা ভাপা পিঠায় মুখ গুজেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসী। পিঠার গরম আর সুগন্ধি ঘ্রাণ নাকে এলে তাকে এড়িয়ে যেতে পারেকি বাঙালি? তাই জেলার সদর শহর বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরের পুর শহরের বিভিন্ন এলাকাতেই ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে।
শীত এলেই একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা বসে পরেন পসার সাজিয়ে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পৌর শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলিতে বিক্রি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠা। এই পিঠার স্বাদে ক্রেতারা মুগ্ধ। শীতের সময় এখানকার নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ভাপা পিঠার ব্যবসা। শীতের আমেজে মুখে বাহারি পিঠাড় স্বাদ যেনও ভোলাই যায় না। একদিকে ভাপা-পিঠার স্বাদ আর অন্যদিকে চুলার আগুন আর জলীয় বাষ্পের উত্তাপ যেন চাঙ্গা করে দেয় দেহমন। অনেকেই পিঠার দোকানে চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাচ্ছেন। পরিবারের সবাইকে চাখাতে কেউ কেউ আবার পিঠা কিনে বাড়িও নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, চালের গুঁড়োর সাথে আটা বা ময়দা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। মাটির চুলায় খড়ি অথবা জ্বালানি গ্যাস পুড়িয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত পিঠা তৈরি ও বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। জেলার বিভিন স্থানে ভাপা পিঠার দোকানে সকাল-সন্ধ্যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই রয়েছে। ইভিএম নিউজ