ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৮ ফেব্রুয়ারিঃ ২০২২ মহারাষ্ট্র বিধানসভা উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ হারিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনার তৎকালীন বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে কে পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ভাঙন তৈরি হয়েছিল দলে। ফলে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে আলাদা দল তৈরি করে নির্বাচনী লড়াই লড়ে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসেছিলেন শিন্ডে।

তবে ভোটে জেতার পর বালাসাহেব ঠাকরের প্রতিষ্ঠা করা শিবসেনা নাম এবং দলের প্রতীক হাতছাড়া করতে নারাজ ছিলেন উভয় পক্ষই।এমন একটি জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছিলেন দুদলই। সেই সময় কমিশন উভয় পক্ষের ওপরেই প্রতীক ও নাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো।

শুক্রবার নির্বাচন কমিশন তাঁদের তৈরি নির্দেশনামায় পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ‘শিবসেনা’ নাম এবং দলীয় প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার করতে পারবেন না উদ্ধব ঠাকরে ও তার দল।সেই অধিকার থাকবে কেবল মাত্র শিন্ডে শিবিরের।
কারন হিসেবে কমিশন জানায়, উদ্ধবের দলের বর্তমান নীতি অসাংবিধানিক এবং গণতন্ত্র বিরোধী। ১৯৬৬ সালের ১৯ শে জুন হিন্দুত্ববাদী আদর্শ এবং মারাঠীদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে বালাসাহেব ঠাকরের হাত ধরে তৈরি হয়েছিল এই শিবসেনা দল। ভারতীয় সংবিধান রক্ষার্থে কমিশনের চাপে পরে দুবার দলের নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল শিবসেনা দল।
গতকাল ফের কমিশনের ঘোষণার পর, কমিশন কে ‘গনতন্ত্রের হত্যাকারী’ এবং শিন্ডেকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। অন্যদিকে একনাথ কমিশনের এই রায়কে ‘গনতন্ত্রের জয়’ বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর