ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৬ এপ্রিলঃ গরমে কি প্রাণ ওষ্ঠাগত? হাঁসফাঁস করছেন এই গরমে? মন কি বলছে পাহাড় বা সমুদ্র? দিঘা কিংবা মন্দারমণি নয়, সাধ আর সাধ্যের কথা মাথায় রেখে বেড়িয়ে পড়ুন পূর্ব বর্ধমানের ঝর্ণা গ্রামে। আর ভাগ্য সহায় থাকলে মিলতেও পারে ঝর্ণার দেখা । আর তা হলে গ্রামটিই ঘুরে আসবেন।
গ্রামটির নাম ঝর্ণা। পাহাড় নেই। কিন্তু বর্ধমানের এই গ্রামে দেখতে পাবেন ঝরনা ।কুলকুল বয়ে চলা সেই ঝরনা থেকেই গ্রামটির এরকম নামকরণ। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার অন্তর্গত এই অজ গাঁয়ে কোন পাহাড় নেই। তা সত্ত্বেও গ্রামে রয়েছে ঝরনা! আর সেই থেকেই আস্ত একটি গ্রাম ঝরনা নামে পরিচিত।
পূর্ব বর্ধমানের ওড়গ্রাম মৌজার এই এলাকায় বেশ কয়েকটি গ্রামের নাম পরিচিত ফলের নামে। যেমন আমডাঙ্গা, বেলেডাঙ্গা, কাঁঠাল ডাঙ্গা। এই গ্রাম গুলির পাশে হঠাৎ একটি গ্রামের নাম কিভাবে ঝর্ণা হলো তা নিয়ে চমকপ্রদ লোককথা ঘুরে বেড়ায় গ্রামের মানুষের মুখে মুখে।
পার্শ্ববর্তী গ্রামের তুলনায় ঝরনা গ্রামটি বেশ খানিকটা নিচুতে। এর ফলেই আশেপাশের গ্রাম থেকে বর্ষার সময় জল এসে জমা হয় এই গ্রামটির মাঠে-ঘাটে। এবং সেখানেই ছোট নালা ও ক্যানেল দিয়ে ঝর্ণার মত জল প্রবাহিত হতে থাকে। দক্ষিণবঙ্গে ৪২-৪৩ ডিগ্রির কাঠফাটা গরমে সেই তথাকথিত ঝর্ণার প্রবাহ খানিকটা কমেছে বটে। আশেপাশের এলাকার মাটির জলস্তর অনেকটা নেমে গেলেও এই গ্রামে ঝর্ণার জল এখনও আছে। গ্রামের বাসিন্দারা এক সময় মাঠে ঘাটের ঝরনার জল দিয়েই চাষবাসের কাজ করতেন।
তবে গত কয়েক বছর ধরে গ্রামের ঝরনার জলের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। কিন্তু গ্রামের নামের সঙ্গে এখনো জুড়ে আছে ঝর্ণা। প্রখর রোদে এই গ্রামের পাশ দিয়ে যেতে যেতে অনেকে বলতেই পারেন ঝর্ণার পাশ দিয়ে এলাম।(EVM Newws)