ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১ লা মার্চঃ বিগত দুবছরের মহামারীর কারণে বহু মানুষ হারিয়েছে তাদের রুটি রোজগার । অনেকেই বসেছেন পথে। কেউ তাদের পড়াশোনা ছেড়ে শুরু করেছে নতুন ব্যবসা। কেউ হয়েছে এমএ পাশ ফুচকাওয়ালা, আবার কেউ হয়েছে চায়ওয়ালাও। এইরকমই একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কাজ হারিয়ে বেকার ছেলে আজ জনপ্রিয় উদ্যোগপতি বি.টেক চাওয়ালা।  দুই নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই অণ্ডাল থানার বাঁ দিকে আসানসোল থেকে কলকাতার যাওয়ার পথে তাকালেই নজরে পড়বে বয়স ২৬ এর অশ্বিনী কুমারের বি.টেক চাওয়ালা সাইনবোর্ড।

আসল নাম অশ্বিনী কুমার। জন্ম বিহারের বেগুসারাইয়ে হলেও বর্তমানে জন্মভূমি অন্ডালের কাজরাতে। বাবা পেশায় ইট ব্যবসায়ী। পরিবারে আছেন মা বাবা দুই বোন ও এক ভাই। কাজোড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে মাধ্যমিক পাশ করে এবং তারপরেই বীরভূমের শান্তিনিকেতন স্কুল অফ ইনস্টিটিউট পলিটেকনিক কলেজ পাশ করেন অশ্বিনী কুমার। ২০১৬ পানাগড়ের আর্য ভট্ট কলেজ থেকে মেকানিক্যাল নিয়ে ডিগ্রি অর্জন করে । এরপর ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি বাইয়াইক কম্পানিতে উচ্চ ইঞ্জিনিয়ারিং পদে চাকরিও পায় অশ্বিনী কুমার। এরপর লকডাউন আসে সবার জীবনে। ফলে অনেকের মতোই সেও হারায় চাকরি। সেই পরিস্থিতিতে সে ঠিক করে অন্যরকম কিছু করার। যেটা হবে সকলের থেকে এক্কেবারে আলদা। চেনা মুখ কিন্তু অচেনা রূপে। আর তারপরেই খোলে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক অণ্ডাল থানার অদূরে শুরু করেন বি.টেক চাওয়ালা নামক চায়ের দোকান। বাঁধা ধরা চায়ের দোকান নয়। একটু আলদা । চা হল এমন একটা জিনিস যাতে কোনও না নেই কারোর । দিন্তাই শুরু হয় যার চুমুকে। আর সেটা যদি হয় ৭ -৮ রকমের । চকলেট চা থেকে শুরু করে বাটার চা , এলাইচি চা, কেশর চা আরও কত রকমারি চা পাওয়া যায় এই বি.টেক চাওয়ালাতে। ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত চা পাওয়া যায় এখনে।

এই প্রসঙ্গে অশ্বিনী কুমার বলেন, অনেকের মতোই আমারও লকডাউনে চাকরি হারাই। লকডাউন হওয়ার পর কিছুদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমও করেছিলাম। তবে তাতে ছিল না কোন মজা । হয়তো এখন যা করছি তার থেকে কম মাইনে পেতাম। তাই মাথায় আসে অন্য কিছু করার । সৎ পথে সঠিক উপায় নিজের ইচ্ছাশক্তি ও কর্ম ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর