ব্যুরো নিউজ, ১ সেপ্টেম্বর: গোয়ার বাধা টপকে ফাইনালে মোহনবাগান। গোয়ার বাধা টপকে ফাইনালে ‘নেমেসিস’-এর মুখোমুখি মোহনবাগান। লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ ঘটলো মোহনবাগানের। বৃহস্পতিবারের হাই ভোল্টেজ সেমিফাইনালের ম্যাচে এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ডার্বি নিশ্চিত করলো মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

খেলা শুরুতেও গত ম্যাচের থেকে কিছু পরিবর্তন করেছিলেন কোচ জুয়ান। সাদিকুর জায়গায় শুরু করেছিলেন পেট্রাটস। প্রথমার্ধে হুগো, সাহাল, থাপা, পেট্রেটসের মিলিত আক্রমনগুলি রুখতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল গোয়াকে। গোয়ার হয়ে ধীরাজ বেশ কিছু সেভ দিচ্ছিলেন। মাচের ২৩ মিনিটে নোয়ার গোলে এগিয়ে যায় গোয়া। মাঝমাঠে হুগোর মিস পাস ধরে একটু এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বক্সের বাইরে থেকেই শট করে গোল করেন নোয়া । এগিয়ে যাওয়ার পরে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে গেছিল মোহনবাগান। সেই সময় বেশ স্বচ্ছন্দেই খেলছিল গোয়ার রেনিয়ার, ব্র্যান্ডন, কার্লরা। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে গোয়ার জয় গুপ্ত আশিককে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। যদিও বিতর্ক থেকেই গেলো পেনাল্টি নিয়ে। কারণ বক্সের কিছুটা বাইরেই জয় ফাউল করলেও পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেয় রেফারি। ম্যাচের ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচের সমতা ফেরান সেই জ্যাসন কামিংস।

কলকাতায় ঝোড়ো ব্যাটিং! জেলায় জেলায় চলবে বৃষ্টির খেলা

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে গোল করায় ধীরে ধীরে খেলায় ফিরতে থাকে মোহনবাগান। প্রথমার্ধের শেষ দিকের অতিরিক্ত সময় ৪৮ মিনিটে কার্ল আশিককে ফাউল করায় বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় মোহনবাগান। কিন্তু শটটি পেট্রেটস মিস করায় প্রথমার্ধে লিড নিতে ব্যর্থ হয় মোহনবাগান ।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতেই খেলছিল গোয়া । কার্ল ও উদান্তার বেশ কয়েকটি শট সেভ করছিলেন বিশাল কাইথ। ম্যাচের ৬০ মিনিটে পেট্রেটসের পাসটি ধরে সাদিকুর উদ্দেশ্যে পাস বাড়ান কামিংস। সেই পাসটি থেকে বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকেই দুরন্ত শটে ধীরাজকে পরাস্ত করে গোল করেন আর্মান্দো সাদিকু। গোলটি করার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে ওঠা বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে দিলেন সাদিকু। গোলটি খাওয়ার পরেও অদম্য লড়াই চালিয়ে যায় মান্ডভি নদীর তীরের দলটি। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে মোহনবাগানের ডিপ বক্সে। এর কিছুক্ষণ পর আক্রমন সামাল দিতে জুয়ান নামান ব্র্যান্ডন হামিলকে। আনোয়ার, ব্র্যান্ডন, শুভাশিষ, আশিষ ও হেক্টরের সমন্বয়ে গঠিত রক্ষণকে ভাঙা গোয়ার পক্ষে আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ম্যাচের শেষের দিকের অতিরিক্ত সময়ে জয় গুপ্তর একটি হেড থেকে প্রায় নিশ্চিত গোলটি দারুন দক্ষতায় বাঁচান বিশাল কাইথ। ২০১৯ এর পরে ফের একবার ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মোহনবাগান। কিন্তু এইবার চাপ আরও বেশি থাকবে তাদের। কারণ, গ্রুপ লিগের ডার্বির বদলা নেওয়ার ও ট্রফি জয় এই দুটিই করতে হবে তাদের। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর