সামু দাস, ১৪ এপ্রিলঃ( Latest News) কোন কাজ করেন না পঞ্চায়েত প্রধান, বর্ষা এলেই তলিয়ে যায় কৃষি জমি, বিক্ষোভের রাস্তা বেছে নিলেন পানিয়ালগুড়ির বাসিন্দারা।
বর্ষা আসতে এখনো বেশ কিছুটা দেরি। তবুও রাতের ঘুম উড়েছে আলিপুরদুয়ারের দক্ষিন পানিয়ালগুড়ির বাসিন্দাদের ৷ বর্ষা আসলেই শুরু হয় নদীর ভাঙ্গন ৷ আলিপুরদুয়ার জেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত। তারই অন্তর্গত দক্ষিন পানিয়ালগুড়ি গ্রামে বসবাস ১৫ টি পরিবারের ৷ মূলত কৃষি ও সুপারি চাষ করেই তাঁদের উপার্জন।
পানিয়ালগুড়ি গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি নদী কালকূট ৷ প্রতি বছরই বর্ষা এলে ভয়াবহ রূপ নেয় এই নদী ৷ তৈরি হয় নদীর পাড় ভাঙ্গন। ফলে জলের নীচে তলিয়ে যায় কৃষি জমি , সুপারি বাগান ৷ আর এটাই গ্রামবাসীদের বিনিদ্র রজনী বাসের কারণ। একপ্রকার নিরুপায় হয়েই তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নদী ভাঙ্গনের সমস্যাকেকে সামনে রেখে সরব হয়েছেন এই গ্রামের মানুষজন।
পথে নেমেছে বিরোধী দলগুলিও ৷ কংগ্রেসের নেতা শান্তনু দেবনাথ বলেন, ‘এটা সত্যি লজ্জার। জেলা সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটা গ্রামের মানুষকে রাত জাগতে হচ্ছে নদীর ভাঙ্গনের জন্য’৷ শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপিও ৷ বিজেপি নেতা মিঠুন রায় বলেন, ‘সরকারি কাগজে দেখা যাবে যে নদীর বাঁধ তৈরির কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা আদও হয়নি’ ৷
তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, ‘স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতকে দিয়ে এই কাজ সম্ভব নয়। এই কাজের জন্য সেচ দপ্তরকে বলা হয়েছে ৷ পানিয়ালগুড়ি এলাকায় নদীর বাঁধ করা হবে’ ৷ (EVM News)