কেন্দ্রের

ব্যুরো নিউজ, ২ জানুয়ারি: কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে সুর নরম রাজ্যের

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ অনুদানে চলে প্রকল্পগুলির নামবদলকে কেন্দ্র করে  দীর্ঘদিনের জটিলতা ও টানাপড়েন এবার কাটতে চলেছে। শেষবার প্রায় মাস খানেক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক শেষে সেই সূত্রই মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সমাধান করতে যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন ও অর্থমন্ত্রীকে নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় অনুদান পাওয়া প্রকল্পগুলির নাম প্রচার ও লোগো ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত নিয়মমানা বাধ্যতামূলক। রাজ্য সেক্ষেত্রে কোনও কিছুই নিজেদের খুশি মতো করতে পারেনা। অথচ রাজ্য সরকার বহু ক্ষেত্রে এধরনের প্রকল্পের নাম বদল করে দিয়েছিল। যেসব প্রকল্পে কেন্দ্র ৬০ শতাংশ ও রাজ্য ৪০ শতাংশ টাকা দিয়েছে, সেক্ষেত্রে বহু প্রকল্পেরই কেন্দ্রের দেওয়া নাম বদলকরে প্রচার চালিয়ে আসছিল রাজ্য। যেমন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম দেওয়া হয়েছিল বাংলা  আবাস যোজনা। রাজ্যের সঙ্গে যথেষ্ট টানাপড়েন চলছে ১০০ দিনের কাজ এবং সড়ক যোজনার মতো কয়েকটি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে। আবার কেন্দ্রের আপত্তি স্বত্বেও নিয়ম ভেঙে বহু প্রকল্পের নিরমানের পর লাগানো হয়েছে নীল-সাদা রঙ। তা নিয়ে আপত্তি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

চিড়িয়াখানায় দলছুট বহু শিশু

এবার মোদী- মমতা বৈঠকের প কিছুটা বরফ গলেছে, দু’পক্ষই নমনীয়। ইতিমধ্যেই এ ব্যপারে রাজ্য সরকার ওই যৌথ কমিটিতে তাদের প্রতিনিধি কারা থাকবেন তাও স্থির করে ফেলেছেন। কেন্দ্র ওই কমিটিতে সিনিয়ার অফিসারদেড় পাঠাবেন। ফলে, রাজ্যের সর্বত্রই রাজ্য সরকারের পাল্টে দেওয়া নাম কেন্দ্রের বিধি অনুযায়ী বদল কড়া হবে। জানা গেছে রাজ্যের পক্ষে ওই যৌথ কমিটিতে পুর ও নগর উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য দফতর ছাড়াও পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কেন্দ্রের ক্ষোভের কারণ তারা দীর্ঘদিনের অভিযোগ পেয়ে রাজ্যের গ্রামগুলি ঘুরে দেখেছেন যে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করেছে রাজ্য সরকার। চাপের মুখে পড়ে আবার তা কেন্দ্রের নামে করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, আলোচনা যাতে অরাজনৈতিক হয় সেই জন্য কমিটিতে শুধু সরকারী অফিসারদের রাখা হয়েছে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর