ব্যুরো নিউজ, ১২ নভেম্বর: ‘এক দিনেরই জীবন তবু, জবারে তোর কপাল ভালো’! জবার মার সেঞ্চুরি পার
‘এক দিনেরই জীবন তবু জবারে তোর কপাল ভালো’ গোলাপ, পদ্ম কিংবা পলাশ নয়! এবার বাজার জবার। আর একটু টাটকা জবার খোঁজেই মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে গেরস্ত পরিবার সকলেই। হাওড়ার মল্লিকঘাট ফুলমার্কেট থেকে শহরের গড়িয়াহাট বা মানিকতলা বাজার সর্বত্রই ক্রেতাদের এক চাহিদার হিট লিস্টে জবা ফুল। আর পুজোর আগের দিনই একাধিক বাজারে সেঞ্চুরি পার করে ফেলেছে ১০৮ জবার মালা। তবে দামের নিরিখে জবাকে সমান টক্কর দিচ্ছে পদ্ম, অপরাজিতা, এমনকি বেলপাতাও।
বক্রেশ্বরের ঝুপকালী মন্দিরের পুজোর আরম্বর
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত বর্ষায় নিম্নচাপের জেরে ক্ষতি হয়েছে ফুলচাষ। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ফুল চাষিদের বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ফলে উৎসবের পদ্ম, রজনী, দোপাটি-সহ সমস্ত ফুলের দাম আকাশছোঁয়া।
পূজোর আগের দিন শনিবারই কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, দেউলিয়া, কেশাপাট প্রভৃতি পাইকারী বাজারে ফুলের দাম ছিল বেশ চড়া। রজনীগন্ধা ৩৫০-৪০০ টাকা প্রতি কেজি, দোপাটি ১০০ টাকা, অপরাজিতা ৩০০ টাকা, লাল গাঁদা ৭০-৭৫ টাকা, হলুদ গাঁদা ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া পদ্ম ৩৫-৪০ টাকা, গোলাপ ৩ টাকা প্রতি পিস, লাল গাঁদার তিন ফুট সাইজের মালা ১২-১৫ টাকা, হলুদ গাঁদার মালা ১৮-২০ টাকা প্রতি পিস দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরো বাজারে গিয়ে সেই দাম আজ দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা।
তবে জবা ৭০-৮০ টাকা/প্রতি শ’দরে শনিবার পাইকারী বাজারে বিক্রিহয়েছে। ১০৮ জবা ফুলের মালা গাঁদার পর বহু খুচরো বাজারে যার দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত ছিল। আজ পুজোর দিন বাজারভেদে সেই দাম আরও অনেকটাই বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ