ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। সরকার আসে যায়। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও উপজাতিদের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তিপ্রা মোথা। আর তাই বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড গড়ার দাবি তুলেছেন সাংগঠনিক প্রধান প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য। এই তিপ্রাল্যান্ড কর্মসূচির মধ্যে অসমের কিছু অংশ, বাংলাদেশের কিছু অংশ এবং মায়ানমারের কিছু অংশ আছে। ত্রিপুরায় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই দুই উপজাতি দলের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই বিজেপি তাদের উন্নয়নের তাশ টেবিলে ফেলেছে। প্রচারের হাতিয়ার করা হয়েছে রাজ্যের ২৩টি উপজাতি অধ্যুষিত ব্লকের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। সিবিএসসির বিষয় হিসাবে ককবরক ভাষাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। উপজাতিদের মাতৃভাষা গারো, বিষ্ণুপ্রিয়া, মণিপুরি ও চাকমা ভাষাকে বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এবারের ত্রিপুরার ভোটের ময়দানে গেরুয়া শিবিরের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তিপ্রা মোথা। সঙ্গী হিসাবে আছে আইপিএফটি উপজাতি দল। দু দলেরই অভিযোগ উপজাতিদের জন্য বিজেপি তেমন কোনও কাজ করেনি।
এদিকে মূল স্রোতে থাকা বিজেপি বিরোধী দুই দল সিপিআইএম এবং কংগ্রেস উপজাতিদের মৌলিক দাবিগুলোর সমর্থনে থাকলেও রাজ্য ভাগের দায় নিয়ে তাদের শরিক করতে নারাজ। আর শাসক বিজেপির কাছে এমন দাবি তো একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। ফলে কংগ্রেস ও সিপিআইএমের মধ্যে জোটের তরঙ্গ থাকলেও শাসক বিজেপি এককভাবেই লড়াই চালাবে। কিন্তু উপজাতি ফ্যাক্টর সব রাজনৈতিক দলগুলোর কপালে ভাঁজ ফেলেছে। তাই মোদি ম্যাজিক বিজেপির বৈতরণী পার করার ক্ষেত্রে একটা বড়ো মাধ্যম হিসাবে কাজ করবে এটাই গেরুয়া শিবিরের সব থেকে বড় বল-ভরসা। ইতিমধ্যেই বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড গড়ে তোলার ডাকে উপজাতি এলাকায় বেশ সাড়া পাচ্ছে তিপ্রা মোথারা। উপজাতিদের বাড়তি শক্তি হিসাবে রাজ্য বিধানসভায় রয়েছে ৬০টি আসনের মধ্যে ২০টি সংরক্ষিত আসন। ৪৫টী আসনে লড়াই করার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় এবার জমজমাট লড়াই। সেই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত অ্যাডভান্টেজ গেরুয়া শিবিরই, একমাত্র মোদি ম্যাজিক তত্ত্বকে সামনে রেখেই।