সংকল্প দে,আলিপুরদুয়ার ২৭ ফেব্রুয়ারিঃ কথায় বলে, য পলায়তি, স জীবতি। আর পলায়ন না করতে পারলে অবশ্যই বিপদ।আপ্তবাক্য, বা বলা যাক শাস্ত্র বাক্য, না মানলে কি হয় তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন একদল পর্যটক। জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে মহানন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন পর্যটকদের একটি দল। দু’পাশে জঙ্গল, মাঝখান দিয়ে চলাচলের রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে এগোচ্ছিল একটি সাফারি গাড়ি। ওই গাড়িতেই ছিলেন পর্যটকরা। হঠাৎই বিপদ। দুই গন্ডার এর মধ্যে বেধেছিল ঝগড়া। শুরু হলো লড়াই। আর সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার তালে ছিলেন জিপে থাকা পর্যটকরা।

লড়াই করতে করতে দুটি গন্ডারই জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসে রাস্তার ওপর। আর তখনই তাদের চোখে পড়ে সাফারি গাড়িটি। লড়াই ভুলে তাদের যাবতীয় রোষ গিয়ে পড়ে ওই গাড়ির ওপর। ধেয়ে আসে জিপের দিকে। গাড়ি উল্টো দিকে ঘোরাবার উপায়ই নেই তখন। বিপদ বুঝে চালক ব্যাক গিয়ারে গাড়ি পেছন দিকে চালাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে গন্ডার একেবারে গাড়ির গায়ে।

গন্ডারের ঠেলায় গাড়ি উল্টে যায় রাস্তার পাশের নর্দমায়। গুরুতর আহত হন জিপের চালক। বাকি পর্যটকরাও গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন। ভাগ্য ভালো, দুটি গন্ডারই এরপর আর আক্রমণ না করে জঙ্গলে ঢুকে যায়। না হলে আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারতো। তবে চালক ছাড়া বাকিদের আঘাত তেমন গুরুতর কিছু নয়। প্রত্যেককেই উদ্ধার করে মাদারী হাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয়দের বক্তব্য, জলদাপাড়ায় পর্যটকদের আনাগোনা এতটাই বেড়ে গেছে যে পশুরা বিরক্ত হচ্ছে। তবে সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে এর আগে কখনোই গন্ডারদের এরকম আক্রমণের সামনে পড়েননি কোনও পর্যটক। বনদফতর নজর রাখে অবশ্য। কিন্তু পর্যটকদের সংখ্যা এতই বেড়ে গেছে যে বনকর্মীরাও আর তাল রাখতে পারছেন না।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর