ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৫ মার্চঃ দীর্ঘদিন ধরেই চালাচ্ছিলেন মধু চক্রের ব্যবসা।অভাবের সুযোগ নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেক মহিলাকেই।পুলিশের নজর এড়াবার জন্য পালটে ছিলেন নিজের নামটাও। কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা।অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন এই চক্রের মূল পাণ্ডা ললিতা বর্মন।
এলাকার বেশিরভাগ মানুষ তাকে চেনেন চন্দনা নামেই। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই গোপন সুত্র মারফৎ খবর পেয়ে ওই মহিলার ওপর নজরদারি শুরু করে শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ। আর তারপরই শুক্রবার সকালে গ্রেফতার হন ললিতা বর্মণ ওরফে চন্দনা।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে চলত ছবির আদান-প্রদান এবং তারপর দর কষাকষি। পছন্দ হলেই খদ্দেরদের ডেকে নেওয়া হত নির্দিষ্ট স্থানে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এলাকার প্রভাবশালীদের সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দ বজায় রেখে চলতেন চন্দনা। আর তাই শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ গত বছর ডিসেম্বরে মাসেই বিষয়টি জানতে পারার পর এই মধু চক্র ব্যবসার যুক্ত চন্দা শাহ, মিজানুর ইসলাম এবং সম্রাট সরকার নামক তিনজনকে গ্রেফতার করলেও অধরা ছিল চন্দনা।
২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে ধরা পড়ে এই অনলাইন সেক্স র্যাকেটের মাস্টার মাইন্ড অখিলেশ কুমার। আর এই অখিলেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সামনে আসে ললিতা বর্মন ওরফে চন্দনার নাম।অখিলেশের কথায় বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের সরবরাহ করা অর্থাৎ সাপ্লায়ার ছিল ললিতা ওরফে চন্দনা।
এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখালে ললিতার খোঁজ শুরু করে শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ। অবশেষে গতকাল শিলিগুড়ি পৌরসভার ৪০ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত দূর্গানগরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে চন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।