রাজ্যে

ব্যুরো নিউজ, ১ নভেম্বর: আবারও রাজ্যে ডেঙ্গির বলি ২ তরুন 

রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে একের পর এক মৃত্যু ঘটছে। সোমবার ও মঙ্গলবার ডেঙ্গিতে কলকাতা ও হাওড়ার ২ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত যত জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই সংখ্যা গত পাঁচ বছরের মোট আক্রান্তের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে!

ভিআইপি রোডে চলন্ত ওলা গাড়িতে আগুন

স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারাও। তারা আশঙ্কা করছে, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে চলতি বছরে আক্রান্তের মোট সংখ্যা লক্ষের ঘরেও পৌঁছে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৪৭৫ জন। বছরের শেষের ২ মাস আগেই যা ২০২২ সালের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর, গত বছর ডেঙ্গিতে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭ হাজার ২৭১ জন। মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এগারো দিনে রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯২৯ জন। চলতি মরসুমে সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষায় ৪৮ হাজার ৩১১ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ২৮ হাজার ১৬৪ জনের ডেঙ্গি পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে।

সোমবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা সারেক খান নামক এক তরুন। তার বয়স ১৮ বছর। ওই তরুণের বাড়ি কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের একবালপুরে, ব্রাউনফিল্ড রো-তে। সে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। তার বাড়িতে আছে তার মা, বাবা ও দাদা। পুরসভা সূত্রের খবর, ২৩ অক্টোবর ওই তরুণের জ্বর আসে। ২৪ তারিখ তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। পরদিন তার ডেঙ্গি ধরা পরে। ২৬ তারিখ সকালে একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় সারেককে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসিএমআরআই হাসপাতালে। সোমবার সকালে সেখানে মারা যান ওই তরুণ। অন্য দিকে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাওড়া পুরসভার রামেশ্বর মালিয়া লেনের বাসিন্দা অতীশকুমার সিংহেরও। ২৭ বছরের ওই যুবক দিনকয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। আন্দুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি। পরীক্ষায় ডেঙ্গি পজ়িটিভ এসেছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখাতে এসে আচমকা জ্ঞান হারান অতীশ। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় ওই হাসপাতালেই। মঙ্গলবার সকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

সারেকের বাবা, পেশায় ব্যবসায়ী মহম্মদ সেলিম খান বলেন, ‘‘ডেঙ্গি ধরা পড়ার পরে ছেলের বমি, পায়খানা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ওর শরীরও দুর্বল হতে থাকে। ভর্তির সময়ে ওর প্লেটলেট ছিল ৬২ হাজার। পরে তা কমে ৪২ হাজার হয়ে যায়’’। দক্ষিণ কলকাতার ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ নম্বর বরোর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সংক্রমণ সব চেয়ে বেশি। এমনকি, ১৫ নম্বর বরো এলাকা, অর্থাৎ গার্ডেনরিচেও ডেঙ্গির সংক্রমণ যে ভাবে বেড়েছে, তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুর প্রশাসনের কাছে। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর