কাকু

ব্যুরো নিউজ, ০৪ জানুয়ারি: অবশেষে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বর সংগ্রহে সফল ইডি

অনেক টালবাহানার পরে অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত ১২:০৫ মিনিট নাগাদ কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে সাফল্য পেলো ইডি। বুধবার রাতে প্রায় পাঁচ মাস পরে ‘কাকু’কে হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে একই বাক্য বার বার বলানো হয়। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরাও। কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর রাত ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ সুজয়কৃষ্ণকে ফের ইএসআই হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হয়। গতবছর ৩০ মে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার পরের দিন তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা সুজয়ের কথায় ফোন থেকে মুছে দিয়েছিলেন । ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে সুজয়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু তাদের কাছে এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘কল রেকর্ডিং’ আছে বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়।

বার বার এসএসকেএমে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে ইডির আধিকারিকদের। এসএসকেএমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, ইএসআই হাসপাতালে ‘কাকু’কে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হোক। বুধবার রাতে হঠাৎই এসএসকেএম হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগের সামনে এসে পৌঁছায় জোকা ইএসআই হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স। হাসপাতালের সামনে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। ইডি আধিকারিকেরাও এসএসকেএমে পৌঁছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল, ‘কাকু’কে এসএসকেএম থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। রাতে দেখা যায়, এসএসকেএমের হৃদ্‌রোগ বিভাগের কেবিন থেকে বার করা হয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে।

তদন্তে মানিকের বিরুদ্ধে মিলেছে নতুন তথ্য: ইডি

বেশ কিছু দিন ধরেই ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছিল ইডি। নিয়োগ মামলার তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টার পরেও ‘কাকু’র স্বরের নমুনা মেলেনি। এমনকি, আদালতের নির্দেশের পরেও সংগ্রহ করা যায়নি কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা। শারীরিক অসুস্থতার কারণে জেল থেকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সুজয়কে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, ‘কাকু’কে আড়াল করছে এসএসকেএম। ইচ্ছা করেই তাঁর স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বুধবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা রুদ্ধদ্বার শুনানি করেন। এই মামলায় মঙ্গলবারই বিচারপতি ইডির যুগ্ম ডিরেক্টর ও ইএসআইয়ের মেডিক্যাল দলের প্রধানকে তলব করেছিলেন। শুনানিতে তাঁরা সকলেই হাজির ছিলেন। নিয়োগ মামলার যে রিপোর্ট ইডি আদালতে জমা দিয়েছে, সেখানে ‘লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস’ ও তার সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি সংক্রান্ত রিপোর্টও ছিল। ওই সংস্থাতেই কাজ করতেন সুজয়। নিয়োগ সংক্রান্ত ওই মামলার তদন্তের স্বার্থেই ইডি এতদিন ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। গতকাল রাতে তাঁরা ওই কাজে সাফল্য পায়। ইভিএম নিউজ  

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর