ব্যুরো নিউজ, ২২ ডিসেম্বর: অধ্যক্ষ হওয়ার যোগ্যতা ছিল না মানিকের স্বীকার করল রাজ্য

মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গে আদালতে হলফনামা জমা দিল রাজ্য। যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এক ছাত্র। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে ওই মামলা।

আগেই এই মামলায় হলফনামা দিয়েছিল ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানায়, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ বেআইনি। এমনকি, অধ্যক্ষ পদে বসার মতো কোনও যোগ্যতাই ছিল না মানিকের। এবার রাজ্যের তরফের হলফনামাতেও একই  তথ্য।

চাকরীপ্রার্থীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র কালীঘাট চত্বর

শুক্রবার হাই কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী স্বীকার করে নেন, ১৯৯৮ সালে কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে বেআইনি ভাবে অধ্যক্ষ হয়েছিলেন মানিক। ঘটনাচক্রে, বাম আমলে অধ্যক্ষ পদে মানিকের নিয়োগ যে ‘বেআইনি’, তা স্বীকার করে নিল রাজ্য।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়  শাসকদলের বিধায়ক মানিককে গ্রেফতার করে ইডি। মানিক দীর্ঘ দিন কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। নিয়ম মেনে তিনি ওই পদে নিযুক্ত ছিলেন কি না, তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে হলফনামা জমা দিতে বলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১১ ডিসেম্বর সেই হলফনামা জমা দেয় ইউজিসি। তাদের তরফে আদালতে জানানো হয়, নিয়ম মেনে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হননি মানিক।

এবার রাজ্যের তরফে জমা দেওয়া হলফনামায় জানানো হয়েছে, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হয়ার জন্য আগে মানিক ভট্টাচার্যের কোথাও পার্ট টাইম লেকচারার হিসেবে অভিজ্ঞতা ছিল নাা ১৯৯৮ সালে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের। ২০০০ সাল পর্যন্ত ওই কলেজটি বেসরকারি কলেজ ছিল। সেক্ষেত্রে ১৯৯৮ সালে নিয়োগের সময় নিয়োগকর্তার ইউজিসির রেগুলেশনের উপর নজর দেওয়া উচিত ছিল বলেও হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর