ব্যুরো নিউজ, ৩০ অক্টোবর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশার জেরে লাটে পড়াশোনা

ঘরের চাল নেই আর ঘরের দশাও জরাজীর্ণ। তাই বারান্দাতে চলছে পড়াশোনা। শুধু এখানেই শেষ নয়। যেইখানে শিশুদের জন্যে খাবার তৈরি হচ্ছে সেই পরিবেশও যথেষ্ট অস্বাস্থ্যকর। এতো কিছুর পরেও যেন প্রশাসনের কোন হুশ নেই। চিত্রটি জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।

সবথেকে ছোট ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করলো কাকদ্বীপের ছাত্রী

এই কেন্দ্রে মাত্র একজন কর্মচারী শৈলরানি বড়ুয়া রয়েছে। যার কাঁধে পড়াশোনা থেকে শুরু করে রয়েছে রান্নাবান্নার ভার। তবে সবদিক সামলে পড়াশোনা করাতে তার কালঘাম ছুটছে। তাই কেন্দ্রে পড়াশোনাও ঠিক ভাবে হচ্ছেনা বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। শৈলরানি বড়ুয়া বলেন, “কেন্দ্রে কোন হেল্পার না থাকায় সমস্ত দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পরে। কেন্দ্রে এসেই তাকে বাচ্ছাদের রান্নার কাজে লেগে পড়তে হয়। ফলে পড়ানোর সময় থাকে না তার কাছে”।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই সমস্যা বহু দিনের। অনেক জায়গায় জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। এই কেন্দ্রে ৫০ জনের কাছাকাছি ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে। একটু বৃষ্টিতেই এই কেন্দ্রের রান্নাঘর জলে ডুবে যায়। কেন্দ্রের চারপাশে জঙ্গল ভরে গেছে। ফলে বেরে গিয়েছে সাপ, বিছার উৎপাতও। পড়াশোনা চলছে এইসবের মধ্যেই। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাইছে গ্রামবাসীরা। এই কেন্দ্রে মাত্র একজন কর্মচারী রয়েছে। যার কাঁধে পড়াশোনা থেকে শুরু করে রয়েছে রান্নাবান্নার ভার। তবে সবদিক সামলে পড়াশোনা করাতে তার কালঘাম ছুটছে। তাই কেন্দ্রে পড়াশোনাও ঠিক ভাবে হচ্ছেনা বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।

কেন্দ্রের এই হেন বেহাল দশার কারনে কোন অভিভাবক তাদের সন্তানদের এই কেন্দ্রে পাঠাতে চান না।  নাজমা বেগম নামক এক অভিভাবক বলেন, “এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কোন পরিকাঠামো নেই। এইরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাদের সন্তানদের শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই এই কেন্দ্রে তাদের সন্তানদের পাঠাতে চায় না”। শালবাড়ি- ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, আমি সবেমাত্র এই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি। আমার কাছে এই বিষয়টি জানার। এই বিষয় সম্পর্কে আমি খতিয়ে দেখব ও প্রয়োজনে সমস্যার সমাধানও করার চেষ্টা করবো। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর