ব্যুরো নিউজ, ১৫ জুন: সন্তানদের নিয়ে মা-বাবাদের চিন্তার অন্ত নেই। তা সে খুদে হোক বা একটু বড়, পড়াশোনা, খেলা-ধূলা, তাঁর সন্তানের সুদূর ভবিষ্যৎ এই সব চিন্তা যেনও তাঁদের কিছুতেই পিছু ছাড়েনা। আর তাই যত চাপ ওই ছোট্ট শিশুটির উপরেই। ছোট থেকেই মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, ভালো করে পড়াশোনা না করলে তাঁর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। তাই ছোট্ট সন্তানটিকে পড়তে বসার জন্য কতই না চাপ দেওয়া হয়…। কিন্তু সাবধান! বাচ্চাদের পড়াতে বসিয়ে আমরা এমন অনেক ধরণের অনেক কাজ করি যা বাচ্চার মনে বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সেই রকম কোনও কাজ ভুলেও করা যাবে না।
দুর্দান্ত ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও নেট রেজাল্ট ‘০’! মেনে চলুন এই টোটকা, সাফল্য আসবে হাতের মুঠোয়
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পড়তে বসে বাচ্চা একটু এদিক ওদিক তাকালে বা বার বার খাতা বই ছেড়ে উঠলে কিংবা লিখতে গিয়ে রবার নিয়ে খেলা করলে আমরা ছোটদের বকাঝকা করি। কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে এগুলো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাই ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর সময় সবার আগে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। অযথা বকাবকি করলে আপনার শিশুর মনে পড়াশোনা নিয়ে ভয় তৈরি হবে।
পড়তে বসে বাচ্চারা একাধিক ভুল ত্রুটি করবে তবে আপনাকে এক্ষেত্রেও মেজাজ হারালে চলবে না। একবারের জায়গায় দুবার বলবেন, বোঝাবেন। তবু কোথায় যেনও রাগ না প্রকাশ পায়। বরং ভালোবেসে তার ভুলগুলো শুধরে দিন। এমন না হলে বাচ্চা কিছু জানতে চাওয়া বা শিখতে চাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারাবে। আর এতে আপনার শিশুরই বিপদ।
কিছু পড়তে বা লিখতে দিয়ে আপনার শিশুকে খানিকটা সময়দিন। পাশে বসে সব সময় শাসন করলে চলবে না। পড়ানোর সময় বকাবকি বা শাসনেও যেন থাকে নিয়ন্ত্রণ।
পড়ার একটি রুটিন করে দিন। কোনদিন, কখন কোন বিষয়টি পড়বে তার যেনও একটা চার্ট থাকে। অল্প সময়ের জন্য হলেও পড়াশোনার একটা রুটিন করা প্রয়োজন।