ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর :সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের চোখ-মুখ ফুলে থাকে। এই সমস্যা সাধারণত কিছুক্ষণ পরে ঠিক হয়ে যায়, তবে যদি ফোলা ভাব স্থায়ী হয়, তাহলে উদ্বেগ বাড়তে পারে। বিভিন্ন কারণে চোখ-মুখ ফোলার সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন: সঠিক পুষ্টির অভাব, অতিরিক্ত ওজন, কম ঘুম, অ্যালার্জি, শরীরের জলশূন্যতা, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব, এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
করণ জোহরের পরিচালনায় আসছে ভারতীয় রিয়েলিটি শো ‘দ্য ট্রেইটারস’
নিয়মগুলি মানলে সমস্যার সমাধান হবে
মানসিক সমস্যায় ভুগছেন আলিয়া? নয়তো প্রত্যেক সপ্তাহে থেরাপি কেন?
মেডিসিন বিশেষজ্ঞমতে, কম জল খেলে বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহারে এমন সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত মদ্যপান বা রাত জেগে বেশি নোনতা খাবার খাওয়াও চোখ-মুখ ফোলার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে, থাইরয়েডের গোলমাল হলে ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চোখ-মুখেও ফোলা ভাব দেখা দেয়।
প্রথমত, কাঁচা নুনের ব্যবহার কমাতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দিনে ৫ থেকে ৬ গ্রাম নুন যথেষ্ট, যা প্রায় এক চা চামচের সমান। রান্নায় বা খাবারে বেশি নুন ব্যবহার করলে শরীরে জল জমে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। কোনো অসুখ না থাকলে দিনে ৩-৪ লিটার জল খাওয়া উচিত। শরীরকে আর্দ্র রাখতে না পারলে দূষিত পদার্থ বের হতে পারে না, ফলে ফোলা ভাব দেখা দেয়।
অরিজিৎ সিংহের প্রতিবাদী গান: কলকাতার মানুষের কণ্ঠস্বর
তৃতীয়ত, দিনে ২-৩ বার মুখে আইস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বরফের প্যাক লাগালে প্রদাহ কমে যাবে এবং রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
চতুর্থত, ডিটক্স পানীয় তৈরি করে সেটি পান করা যেতে পারে। শসা, স্ট্রবেরি, আঙুর, ও লেবু দিয়ে তৈরি এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে।
অবশেষে, নিয়মিত শরীরচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, বা সাঁতার কাটলে শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং ফোলা ভাব কমে যাবে। এই সব পদক্ষেপ অনুসরণ করলে চোখ-মুখের ফোলা ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।