supreme-court-arji-kor-case-hearing-september-27

ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর:আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি  হবে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ মঙ্গলবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী শুনানিতে তদন্তের অগ্রগতি এবং আদালতের নির্দেশনা কিভাবে কার্যকর হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

জহর সরকারের ইস্তফার পেছনে দুর্নীতি ও অসন্তোষের কাহিনি

জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরতে চান

মঙ্গলবারের শুনানিতে রাজ্য সরকারকে বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার কথা ছিল। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর, আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে ছিল রাজ্য সরকারের কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের বিষয়ে ‘বিতর্কিত’ বিজ্ঞপ্তি, জুনিয়র ডাক্তারদের চলমান কর্মবিরতি এবং পুলিশের ভূমিকা।বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্য সরকারকে মহিলাদের কর্মস্থল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি মুছে ফেলতে নির্দেশ দিলেও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবির বিষয়টি খারিজ করে দেন। জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। তিনি বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আস্থা অর্জনের জন্য রাজ্যের সঙ্গে তাদের বোঝাপড়া নথিবদ্ধ রাখতে হবে। আমরা জানি, সব দাবি এক দিনে পূরণ হবে না। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরতে চান, তাই এখনই নজর দেওয়া প্রয়োজন।”

কঙ্গনা ও জয়া দুই সাংসদ-অভিনেত্রীর মেজাজের লড়াই

তবে, জুনিয়র ডাক্তারদের জেনারেল বডির বৈঠক কবে হবে, তা জানাতে পারেননি আইনজীবী ইন্দিরা। বুধবার জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের জেনারেল বডির বৈঠকে বসবেন।শীর্ষ আদালত শুক্রবার আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আদালত নির্দেশ দেয়, তদন্তের স্বার্থে রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনতে।বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আরও ছয়টি নির্দেশ দেয়। প্রথমত, উইকিপিডিয়া থেকে নির্যাতিতার নাম ও ছবি মুছে ফেলতে হবে। দ্বিতীয়ত, তদন্ত সংক্রান্ত কিছু গোপনীয় বিষয় প্রকাশ্যে আনা যাবে না। তৃতীয়ত, হাসপাতালে শৌচাগার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে হবে। চতুর্থত, মহিলা চিকিৎসকদের বিশ্রামের সময় বায়োমেট্রিক নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পঞ্চমত, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইকে দিতে হবে। ষষ্ঠত, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ শুরু করলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।এই নির্দেশনা ও প্রতিবেদন নিয়ে আগামী শুনানিতে আদালতের আলোচনা কেমন হয়, তা জানা যাবে। এটি কেবল মামলার অগ্রগতি নয়, বরং রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর