ব্যুরো নিউজ ,২ মে: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার রেশ এবার ছড়িয়ে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্কেও। এই হামলার জেরে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক টানাপড়েন। আর তার ছাপ এবার পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়ও।
তারকার অ্যাকাউন্ট ভারতে আর দেখা যাচ্ছে না
ভারতে হঠাৎ করেই ব্লক করে দেওয়া হল পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটারদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি-সহ বেশ কয়েকজন তারকার অ্যাকাউন্ট ভারতে আর দেখা যাচ্ছে না।
যদি কেউ ভারতে বসে বাবরদের ইনস্টাগ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন, তাহলে স্ক্রিনে ভেসে উঠছে বার্তা — ‘এই অ্যাকাউন্ট ভারতে উপলব্ধ নয়।’ ইনস্টাগ্রামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি আইনি অনুরোধের ভিত্তিতেই করা হয়েছে।
তবে আলাদা করে কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ভারত-পাক সম্পর্কের উত্তেজনার মধ্যেই এই পদক্ষেপ অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
শুধু বাবররা নন, শোয়েব আখতার এবং হ্যারিস রউফের অ্যাকাউন্টও ভারতে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। তবে ওয়াসিম আকরাম, শাহিদ আফ্রিদি ও ওয়াকার ইউনিসদের অ্যাকাউন্ট এখনও ভারতে চালু রয়েছে। তাদের পোস্ট ভারতীয় ব্যবহারকারীরা এখনও দেখতে পাচ্ছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগে পাকিস্তানের অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী অ্যাথলিট আরশাদ নদিমের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ভারতে ব্লক করা হয়েছিল।
ইতিহাসে প্রথম! কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরে দাঁড়ালেন জনস্বার্থ মামলার শুনানি থেকে
এই সিদ্ধান্তের মধ্যেই ফুটে উঠছে বড়সড় বার্তা। কারণ, ভারত সরকার ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে অনীহা প্রকাশ করেছে। ফলে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পহেলগাঁওয়ে হামলার পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এমনকি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
সেপ্টেম্বর মাসে এশিয়া কাপ আয়োজনের কথা। নিরপেক্ষ কেন্দ্রে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনও স্থির হয়নি কোথায় হবে এই আসর। এই পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। চলতি বছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিলাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে।
কিন্তু ভারতীয় দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কি না, সেই নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে দুই দেশের লড়াই নাও দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই যদি দুই দল নকআউট পর্যায়ে মুখোমুখি হয়, তাহলে ভারতকে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে হতে পারে।
সব মিলিয়ে পহেলগাঁও হামলার অভিঘাত কেবল সীমান্তে নয়, মাঠেও নতুন উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এবং তাতে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক আরও কঠিন মোড় নিতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।