ব্যুরো নিউজ,২৫ সেপ্টেম্বর:যেখানে চোখ যায়, সেখানেই জল আর জল। ঘাটালে হঠাৎ প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করা প্রায় সাড়ে তিনশো প্রসূতির জন্য এটি একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি।তাদের মধ্যে কয়েকজনের মা হওয়ার সময় প্রায় চলে এসেছিল, কিন্তু বন্যার জন্য কোথাও বের হতে পারছিলেন না। ঠিক তখনই জেলা পুলিশ ও প্রশাসন ‘মসিহা’ হিসেবে হাজির হয়।
বসুশ্রী সিনেমা হলঃ ইতিহাসের সাক্ষী, কিন্তু ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
স্পিড বোট নিয়ে বন্যায় বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান
পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা দ্রুতগতিতে স্পিড বোট নিয়ে বন্যায় বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান। তারা সেখান থেকে অন্তঃসত্ত্বাদের উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, মোট ৩৬২ জন প্রসূতিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত আট দিনে ২৪৫ জন সন্তান জন্ম দিয়েছেন, এবং মা-সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। বাকি ১১৭ জন অন্তঃসত্ত্বার চিকিৎসার জন্য প্রশাসন সব রকমের ব্যবস্থা করেছে।মঙ্গলবার জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদ্রি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গীরা ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়ে প্রসূতি মায়েদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। তারা হাসপাতালের ‘মাদারস্ হাব’ এবং প্রসূতি বিভাগ পরিদর্শন করে রোগীদের হাতে শাড়ি ও ফল দেন। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে রোগীদের পরিজনরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।বন্যায় জল থইথই থাকলেও, প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা একসঙ্গে এগিয়ে এসেছেন। অনেক প্রসূতিকে ট্র্যাক্টরে করে এবং অন্যদের স্পিড বোটে হাসপাতালে পৌঁছানো হয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকা থেকে বানের জল কমে যাওয়ার পর ৫৬ জন মা নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরেছেন, এবং অন্তত ৩০ জন মা এখনো ‘মাদারস্ হাব’-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চান রাসেল
জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদ্রি বলেন, “আশাকর্মীদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরই আমরা সন্তানসম্ভবাদের উদ্ধারের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করি।” তিনি জানান, যারা বন্যার কারণে প্রয়োজনীয় পোশাক নিয়ে আসতে পারেননি, তাদের এবং নবজাতকদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, স্বাস্থ্য দফতর ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী— সকলের সহযোগিতায় আমরা এই কাজটি করতে পেরেছি।”