পুজোর হোর্ডিং নিয়ে বিস্ফোরক প্রশ্ন
ব্যুরো নিউজ : উৎসবের মরসুমে কলকাতার রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রঙিন হোর্ডিং, ব্যানার আর বিজ্ঞাপনের পোস্টার। ক্লাব ও পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে এগুলি এখন বড় ব্যবসার ক্ষেত্র। কিন্তু এই বিপুল আয় থেকে কলকাতা পুরসভা এক টাকাও পাচ্ছে না—এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে তিনি সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “হোর্ডিং থেকে ক্লাবগুলি কোটি কোটি টাকা তুলছে, কিন্তু পুরসভার ভাগ কোথায়?”
দুর্গাপুরে মেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণ
বিশ্বরূপের বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করে দেন, পুরসভার আর্থিক অবস্থা এখন নড়বড়ে। অথচ শহরজুড়ে থাকা এই বিজ্ঞাপন হোর্ডিংগুলি থেকে আয়ের নতুন উৎস তৈরি করা সম্ভব। তাঁর দাবি, “ক্লাব বা পুজো উদ্যোক্তারা ব্যবসা করবে, পুরসভা কিছুই পাবে না—এটা হতে পারে না।” তাঁর মন্তব্যে অধিবেশন মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জবাবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে পুজোর যাবতীয় কাজ করছে। পুজো উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েই পুরসভা এই খরচ বহন করছে। তিনি বলেন, “এ বছর কোনও ক্লাবের কাছ থেকে হোর্ডিং বাবদ অর্থ নেওয়া হচ্ছে না, কারণ উৎসবের আনন্দে কোনও বাধা আনতে চাই না।”
গ্রহ রত্ন কেলেঙ্কারিতে ভূমিকম্প
তবে পুরসভারই এক সদস্যের এমন প্রকাশ্য প্রশ্নে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। অনেকেই মনে করছেন, এটি অন্দরমহলের ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। পুরসভার কর্তারা স্বীকার করছেন, অর্থসঙ্কট এখন প্রকট, তাই বিকল্প রাজস্ব উৎস খোঁজা জরুরি। বিশ্বরূপ দে বলেন, “আমি ভুল কিছু বলিনি। পুরসভার আয় বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।”
সব মিলিয়ে, পুজোর আলোয় ঝলমল শহর কলকাতায় এবার হোর্ডিং ঘিরেই বাড়ছে বিতর্কের তাপ!




















