ব্যুরো নিউজ,২২ এপ্রিলঃ বাগুইআটির দেশবন্ধুনগর এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এক বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। একটি নালাতে পড়ে থাকা কালো রঙের ট্রলি ব্যাগ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ব্যাগটি খুলতেই চমকে ওঠেন সকলে—ভিতরে ছিল এক মহিলার নিথর দেহ। মুখে বাদামি রঙের টেপ লাগানো ছিল, যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে খুন করে দেহ এখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আশপাশের এলাকায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কুমোরটুলি ট্রলি ব্যাগ কাণ্ড
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেকের মনে ফিরে এসেছে কুমোরটুলিতে ঘটেছিল এক ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কুমোরটুলি ঘাটের কাছে একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার টুকরো করা দেহ। ঘটনায় ধরা পড়েছিলেন মধ্যগ্রামের বাসিন্দা ফাল্গুনি ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—মৃতা ছিলেন ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষ। অভিযোগ, তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে একটি ট্রলিতে ভরে তা গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল মা-মেয়ে। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যান তাঁরা।
বানতলা ম্যানহোলে দুর্ঘটনাঃ তিন সাফাইকর্মীর মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিতর্ক
নতুন এই বাগুইআটির ঘটনা শহরবাসীর মনে ফের সেই পুরনো আতঙ্ক ফিরিয়ে এনেছে। ট্রলি ব্যাগে দেহ লুকিয়ে হত্যার এই প্রবণতা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এগোচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই দোষীদের শনাক্ত করে আইনের মুখোমুখি আনা হবে। এখন গোটা শহরের নজর এই রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের উপর, যার পরতে পরতে লুকিয়ে থাকতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।