সুপার কাপে প্রথম ম্যাচেই বড় জয় পেল এটিকে মোহনবাগান

অরূপ পাল, ১১ এপ্রিলঃ চ্যাম্পিয়নের মত শুরু করল এটিকে মোহনবাগান। সুপার কাপে জুয়ান ফেরান্দোর দল ৫-১ গোলে জিতল। প্রতিপক্ষের গোকুলাম কেরালাকে পাঁচ গোলে উড়িয়ে ডুরান্ডের বদলা নিয়ে নিল মেরিনার্সরা। কেরলে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ, গোকুলাম কেরল এফসি, তাদের পাঁচ  গোলে হারানো এককথায় সিংহের গুহায় ঢুকে সিংহ শিকার। সবদিক থেকে সুপার কাপ দারুণ শুরু করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। দীর্ঘদিন পরে গোলে ফিরলেন লিস্টন কোলাসো। আইএসএল জুড়ে ফর্ম হাতড়ে বেরিয়েছিলেন ভারতীয় উইঙ্গার। প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। সুপার কাপে প্রথম ম্যাচে দুটো গোল করলেন আইএসএল-এ ফর্ম হারিয়ে ফেলা লিস্টন কোলাসো । দুটো গোলই অসাধারণ। এই পারফরম্যান্স তাঁকে ফের ছন্দ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। ম্যাচের ছয় মিনিটে কার্যত একক দক্ষতায় দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিস্টন। বক্সের মধ্যে বাঁ দিক থেকে নেওয়া শট ডানদিকের কোন দিয়ে ঢুকে যায় গোলে। অসাধারন প্লেসিং। গোকুলাম গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না।

শুরুতেই গোল পেলেও আক্রমণের ঝাঁজ কমায়নি মোহনবাগান। বরং আক্রমনের চাপে স্থানীয় দলটিকে ব্যাকফুটে ঠেলার চেষ্টা করেছিল। পিছিয়ে পড়লেও প্রতিপক্ষের চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে গোকুলাম। সুযোগ পেয়েছিল কেরলের দলটিও। কিন্তু তা সবুজ মেরুন রক্ষন ভাঙার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। ২৭ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। এবারও ব্যবধান বাড়ান লিস্টন। প্রথম গোলের মত দ্বিতীয় গোলও দারুণ। বাঁ দিকের উইং বরাবর উঠে এসে দূরপাল্লার শটে গোল লিস্টনের। টপ কর্নারে গোলরক্ষক শিবিন রাজের মাথার ওপর দিয়ে বল ঢোকে জালে। বিশ্বমানের গোলের হদিশ পায়নি গোকুলাম গোলরক্ষক। বিরতির আগে এটিকে মোহনবাগানের তিন নম্বর গোল। এবার গোলদাতা হুগো বুমোস। ফরাসি মিডফিল্ডারকে নিয়ে নানা জল্পনা শোনা গেলেও এই গোল তাঁকে আরও আত্মবিশ্বাস যোগাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। চার নম্বর গোল মনবীরর সিং-এর ।৬৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।  এক্ষেত্রে হুগোষবুমোস গোলের রাস্তা সাজিয়ে দেন। বাঁ দিক থেকে উঠে আসা মনবীরকে পাস দেন হুগো। তাঁর ডান পায়ের শট নীচে বাঁ দিক দিয়ে গোলে ঢোকে। ৭১ মিনিটে ব্যবধান কমায় গোকুলাম। গোলদাতা মেন্ডি। ডানদিকের উইং দিয়ে ওমরের ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে বাউমার তা বাড়িয়ে দেন মেন্ডিকে। গোল করতে ভুল করেননি মেণ্ডি।

ম্যাচের শেষবেলায় এটিকে মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান বাড়ান কিয়ান নাসিরি। গোল পেতে পারতেন আশিস রাইও । পোস্টে লেগে তাঁর নেওয়া শট বাইরে চলে যায়। শেষ পাঁচ মিনিটে গোলসংখ্যা আরও বাড়াতে পারত মোহনবাগান। তাতে লজ্জা আরও বাড়ত গোকুলামের। এদিন দলে থাকলেও তিরিকে নামাননি জুয়ান ফেরান্দো। সুপার কাপের প্রতিটি ম্যাচ ফাইনাল ধরে এগোনোর কথা বলেছেন সবুজ মেরুন কোচ। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রত্যাশার চাপ বেড়েছে মেরিনার্সদের। সেই চাপ সামলানোর জন্য সবুজ মেরুন যে তৈরি তা সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে পাঁচ গোলে প্রমাণ রাখল। (EVM News) ইস্টবেঙ্গলের ডেরায় মোহনবাগানের নামে রাস্তার নামকরণ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর