ব্যুরো নিউজ, ১৬ সেপ্টেম্বর: মাছের তেলেই মাছ ভাঁজছে প্রশাসন? নদীর মাটি কেটেই চলছে নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ। এ যেনও মাছের তেলেই মাছ ভাঁজা। ঘটনায় সেচ দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।
সেচ দফতরের তরফ থেকে শুরু হয়েছে ফুলহর নদী সংলগ্ন দক্ষিণ প্রান্তের ভাঙ্গন প্রবন এলাকার পাড় বাঁধানোর কাজ। এই পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ভাকুরিয়া গ্রাম অঞ্চলে। আর এই পাড় বাঁধানোকে ঘিরে উঠছে একাধিক অভিযোগ। নাম কামাতেই চলছে কাজ, যে প্রক্রিয়ায় কাজ হচ্ছে তা দীর্ঘ স্থায়ী নয়। নদীর জল বাড়লেই ফের তলিয়ে যাবে এই সদ্য নির্মিত এই নদীবাঁধ। এই অভিযোগে সেচ দফতরের এই কাজের বিরুদ্ধে আজ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উত্তর ভাকুরিয়া এলাকার মানুষ।
ফের টাকার পাহাড় | ৪১৭ কোটি টাকা উদ্ধার
‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না’
তাদের দাবি নদীর দক্ষিণ প্রান্ত ভাঙ্গন প্রবন এলাকা। প্রতিবছরই নদীর জল বাড়লে ব্যাপক হারে ভাঙ্গন হয় এলাকায়। কিন্তু সেচ দফতর এবার জল কমতেই ভাঙ্গন প্রতিরোধে পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পাথরের বোল্ডার দিয়ে নয়, নদীর মাটি কেটে সেই মাটি বস্তা তে বোঝাই করেই পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে। আর নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে এই বস্তা। এইভাবে পাড় বাঁধালে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না।
আজ সংশ্লিষ্ট দফতরের বিরুদ্ধে নদীর পাড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন দেখায় ভাকুরিয়া এলাকায় মানুষ। বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি এইভাবে নদীর পাড় বাঁধানো হলে সেটা ক্ষণস্থায়ী হবে। অবিলম্বে পাথরের বোল্ডার দিয়ে পাড় বাঁধানো হোক। স্থানীয় বাসিন্দা প্রীতম মন্ডল জানান, এইভাবে মাটির বস্তা দিয়ে পাড় বাঁধিয়ে কোনও লাভ হবে না। পাথরের বোল্ডার দিয়ে নদীর পার বাঁধানো হোক। না হলে ভাঙ্গন চলতেই থাকবে।
অবিলম্বে প্রশাসনিক দিক থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ইভিএম নিউজ