ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ সামান্য একটা বেলুন। আর সেই বেলুনকে কেন্দ্র করেই আচমকা উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে, বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক। দিন কয়েক আগেই আমেরিকার আকাশ সীমানার মধ্যে একটি বেলুনকে উড়তে দেখা গিয়েছিল। মুহূর্তে সতর্ক হয়ে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতে শুরু করেন, মার্কিন পুলিশ ও সেনাগোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা। পেন্টাগন সূত্রে জানানো হয়, বেলুনটি চিনে তৈরি। এরপরই অবাঞ্ছিতভাবে মার্কিন আকাশসীমায় চীনের নজরদারি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সেইদেশের সরকারিমহল। বেলুন উড়িয়ে আমেরিকার উপর গুপ্তচরবৃত্তি চলত,এমনটাই অভিযোগ করে আমেরিকার সরকার। যদিও ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই, দুঃখপ্রকাশ করে চীনা প্রশাসন জানিয়ে দেয়, নেহাৎ দিক ভুল করেই বেলুনটি উড়ে গিয়েছিল মার্কিন আকাশসীমার মধ্যে। এটা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি। কিন্তু বাড়তে থাকা বিশ্ব উষ্ণায়নের মতোই, চীনের সেই সাফাইতে আমল না দিয়ে, বেলুনকাণ্ডটিকে গুরুতর আর সন্দেহজনক বলে দেখতে শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিয়ে, সেটিকে গুলি করে আটলান্টিক উপকূলে নামিয়ে দেয় মার্কিন সেনা।
আর এরপরেই পাল্টা সুর চড়িয়েছে চীন।
রবিবারই চীনা প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমেরিকা যেটা করেছে সেটা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সামিল। এর “উপযুক্ত উত্তর দেওয়া হবে।” বেজিং-এর দাবি, আবহাওয়া সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষার উদ্দেশ্যেই এটির ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু হাওয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে না-পেরেই বিশালাকার এই বেলুনটি আমারিকার আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। শুক্রবারও চিনা বিদেশমন্ত্রক এই একই কথা জানিয়ে, ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছিল।
তবে রবিবার চীনের তরফে সরকারি বিবৃতি জারি হওয়ার পর, পাল্টা উত্তর দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিন। তিনি বলেছেন, “চিনের এই গুপ্তচর বেলুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে। তাই এটির বিরুদ্ধে মার্কিন আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে”।