১৫০

ব্যুরো নিউজ, ১২ অক্টোবর: জানেন ১৫০ বছরের সরদার পরিবারের পুজোর ঐতিহ্য? 

বারুইপুর দমদমার সরদার পরিবারের পুজো এবার ১৫০ বছরে। মর্ত্যে নেমে বন্দুক ধরেছিলেন মা দুর্গা । এখনও সেই বিশ্বাসেই পুজোয় চলে গুলি।

দমদমা গ্রামে একবার বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছিল। কথিত আছে, গ্রামের মানুষদের রক্ষা করতে স্বয়ং দেবী দুর্গা বন্দুক হাতে চলে এসেছিলেন দমদমায় সর্দার পরিবারকে বাঁচাতে। মা নিজেই গুলি চালিয়ে সরদার পরিবার-সহ গ্রামের মানুষকে বাঁচিয়েছিলেন। শত্রুপক্ষকে হটিয়ে রক্ষা করেছিলেন গ্রামকে।

১৭ দিন ধরে মায়ের আরাধনা | জানেন এই রাজবাড়ির পুজোর ইতিহাস?

তখন ছিল মাটির মন্দির। তারপর সেই মন্দিরকে দুর্গার মহিমা স্মরণীয় করে রাখতে সরদার পরিবার একটি নতুন পাকা মন্দির তৈরি করে। দুর্গামূর্তি স্থাপনও হয়। তখন থেকেই ঘটা করে পুজো করে আসছেন সরদাররা।

পুজোর সময় দেবীর মহিমা প্রচারের জন্য বিসর্জনের আগে দু’বার বন্দুক থেকে আকাশে গুলি ছোঁড়ার রেওয়াজ আজও আছে। আগে বয়স্করা করতেন। বর্তমান নব প্রজন্ম সেই রীতি এখনও চালিয়ে আসছেন। এই মুহূর্তে চলছে বন্দুক পরিষ্কার করার কাজ।

বাংলা ১৩০৭ সাল থেকে হয়ে আসছে এই পুজো। পরিবারের সদস্যরা চাঁদা দিয়ে এই পুজো করেন। পুজো শুরু করেছিলেন মনোহর সরদার। বাড়ির প্রবীণ সদস্য রণজিৎ সরদার বলেন, ‘গ্রামের মানুষজন পূজোর কয়েকদিন আনন্দে মেতে ওঠেন। ইতিমধ্যেই মন্দির সংস্কার করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিমা তৈরির কাজও চলছে জোর কাদমে। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর পর প্রতিমা নির্মাণ শুরু হয় মন্দিরে।’

এই পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন দেশে-বিদেশে। তবে সবাই বাড়ি আসেন পুজোর সময়। ষষ্ঠী থেকে নিরামিশ খান পরিবারের সদস্যরা। নবমীর দিন আমিষ। পরিবারের অন্য এক সদস্য বলেন, ‘মাকে প্রচুর রুপোর গয়না পরানোও হয়। বংশপরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করছেন স্থানীয় এক কুমোর পরিবার।’

পরিবারের নবীন সদস্য দীবাকর সরদার বলেন, “বংশপরম্পরায় এই পুজো করে আসছি আমরা। আমাদের দুর্গা খুব জাগ্রত। নিষ্ঠা ভাবে মানত করলে এখানে সঙ্গে সঙ্গে তার ফল পাওয়া যায়। পরিবারের দেড়শো সদস্য, আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি এই পুজোর আয়োজনে। অষ্টমীর দিন অঞ্জলির পর এক কুইন্টালেরও বেশি বাতাসা লুট দেওয়া হয়। মানত পূরণের জন্য মহিলারা দণ্ডি কাটেন এই মন্দিরে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর